পটুয়াখালীতে ড্রাগন ফল চাষের সম্ভাবনা

পটুয়াখালীতে ড্রাগন ফল চাষের সম্ভাবনা

পটুয়াখালী সংবাদদাতা: চাষ উপযোগী মাটি হওয়ায় ড্রাগন ফ্রুট চাষের সম্ভাবনা জেগেছে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে। ২০১৫ সাল থেকে জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে এই ফল চাষ করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউটের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র। বর্তমানে তারা কৃষকদের ড্রাগন ফ্রুট চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। স্বল্প খরচে ভালো ফলন হওয়ায় এবং বাজারে দাম ভালো থাকায় এই ফল চাষে দিন দিন আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা।

গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তরা জানায়, সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ফলটি বাড়ির আঙিনা কিংবা ছাদে চাষ করা যায়। গাছের কা- কেটে মাটিতে লাগালেই এই গাছ বড় হতে থাকে। রোগ-বালাই কম হওয়ায় চাষ পদ্ধতিও সহজ। শুধু সার ব্যবস্থাপনা ছাড়া তেমন একটা পরিচর্যার প্রয়োজন পড়ে না। একটি গাছে প্রতি বছর ৩০-৫০টি পর্যন্ত ফল ধরে। ওজনে এক একটি ফল হয় ৫০০ গ্রামেরও বেশি হয়। বাজার ভেদে প্রতি কেজি ড্রাগন ফ্রুট বিক্রি হয় ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউটের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র পটুয়াখালীর বিজ্ঞানীরা এই ফল চাষের সাম্ভব্যতা যাচাই করে বারি ড্রাগন ফ্রুট-১ চাষে সফলতা পেয়েছেন। এখন তারা জেলার কৃষকদের এই ফল চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এ দু’মাস ছাড়া সারা বছরই এ ফল পাওয়া যায়। কৃষকেরা বাণিজ্যিকভাবে এ ফলের চাষ করলে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ড্রাগন ফ্রুট চাষি এয়াকুব বলেন, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে ড্রাগন ফলের গাছটি দেখে ভালো লাগে আমার। সেখান থেকে গাছ নিয়ে রোপণ করেছি। এ ফলটির চাষাবাদ খুবই সহজ।’

পটুয়াখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী হাওলাদার জানান, ২০১৫ সাল থেকে এ গবেষণা কেন্দ্রে ড্রাগন ফলটির চাষ শুরু করা হয়েছে। চাষ খুবই সহজ। এ গাছটি একা দাঁড়াতে পারে না, তাই খুঁটি পুঁতে গাছটি লাগাতে হবে। যেখানে সবসময় সূর্যের আলো পড়ে এমন জায়গায় গাছটি লাগালে ভালো ফলন পাওয়া যায়। ডায়বেটিকসহ বিভিন্ন রোগীদের জন্য এ ফলটি খুবই উপকারী। চাষিরা আমাদের এখান থেকে গাছ নিয়ে তারা রোপণ করছেন। এছাড়া চাষ ও পরিচর্যা বিষয়ে ধারণা নিচ্ছেন চাষিরা। তবে আম কিংবা মালটা বাগানে এ ফলের চাষ করা যায় তাহলে বেশি ফলন পাওয়া যাবে। গাছটি লাগানোর ৩ বছরের মধ্যে ফল দিতে শুরু করে।