সউদি বাদশাহ-যুবরাজের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

সম্পর্ক বৃদ্ধিতে জোর, বাংলাদেশ-পাকিস্তান আলোচনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সউদি আরব ও ইরানের পারস্পরিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টায় দুই দেশে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এর অংশ হিসেবে ইরান সফরের একদিন পর মঙ্গলবার রিয়াদে পৌঁছে সউদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ ও প্রিন্স বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই দেশের চিরবৈরী সম্পর্কের অবসান ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সউদি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান ইমরান খান।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলছে, কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক সঙ্কট শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের জন্য সউদির ক্ষমতাসীন রাজপরিবারকে পরামর্শ দিয়েছেন।

তবে ইমরান খানের পরামর্শে সউদি বাদশাহ কি ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিবৃতিতে তা জানানো হয়নি। অতীতেও পাকিস্তান এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছিল, কিন্তু সউদি আরব তেমন সাড়া দেয়নি।

পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে শান্তি এবং নিরাপত্তার উদ্যোগ হিসেবে ইমরান খান দুই দেশ সফর করেছেন। সউদি আরবের সঙ্গে ইরানের বৈরী সম্পর্কে ইতিহাস বেশ পুরনো। বিশেষ করে ২০১৫ সালে ইয়েমেন যুদ্ধে সউদি আরবের জড়িয়ে যাওয়া নিয়ে দুই দেশের বিপরীতমুখী সম্পর্ক আরো জটিল আকার ধারণ করে। পরে এই সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে গত মাসে; যখন সউদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি তেল স্থাপনায় ভয়াবহ ড্রোন হামলা হয়।

চিরবৈরী এ দুই দেশের মাঝে সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এই সংঘাত শুরু হলে শুধুমাত্র উপসাগরীয় অঞ্চলে নয় বরং প্রতিবেশি অন্যান্য অঞ্চলেও এর প্রভাব পড়তে পারে। পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশ একাধিকবার সউদি-ইরান উত্তেজনা প্রশমনে উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়।

ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে ইমরান খান বলেন, সংলাপ ও আঞ্চলিক উপায়েই আঞ্চলিক সঙ্কটের সমাধান করতে হবে। এ জন্য তিনি ইরান এবং সউদি আরবকে ইসলামাবাদে আলোচনায় বসতে সহায়তায় রাজি রয়েছেন বলেও জানান। ইমরান খানের এই উদ্যোগে স্বাগত জানায় ইরান।