ভারতের রাডার দিয়ে বাংলাদেশে সার্বক্ষণিক নজরদারি হবে -আনু মুহম্মদ

ভারতের রাডার দিয়ে বাংলাদেশে সার্বক্ষণিক নজরদারি হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ, বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, আজ বাংলাদেশের তিনদিকে ভারতের কাঁটাতার। আরেকদিক খোলা ছিল, সেখানে ভারতের জাহাজ। আর সেই জাহাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তাদের রাডার। সেই রাডার দিয়ে আমাদের ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারি হবে।

বুধবার ঢাবিতে আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় নিপীড়নবিরোধী অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

আনু মুহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশের ভেতরে র‌্যাব-পুলিশের নজরদারিতে ভারত সন্তুষ্ট নয়। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার যে নজরদারি এখনও চলছে তাতেও তারা সন্তুষ্ট নয়। তারা প্রকাশ্যে রাডার বসিয়ে বাংলাদেশের ওপর নজরদারি করবে নিরাপত্তার নামে। ভারতের এই তিনদিকে কাঁটাতার, একদিকে জাহাজ আর রাডার, এটাইতো আমাদের নিরাপত্তাহীনতার বড় কারণ।

তিনি আরও বলেন, এসবের বিরুদ্ধে যে তরুণরা কথা বলবে, সেই তরুণরাই বিশ্ববিদ্যালয়ে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অধিকার লড়াইয়ে শামিল হতে পারে। কারণ প্রশ্ন যারা তুলতে পারে, যারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারে, যারা ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের দায় থেকে কথা বলতে পারে, তারাই পরিবর্তন আনতে পারে।

ভারতের জন্য মানবিকতা, কাশ্মীরের জন্য নয় কেন?

আনু মুহাম্মদ বলেন, কাশ্মীরে লাখ লাখ মানুষ একাত্তর সালের মতো পরিস্থিতির শিকার। একাত্তর সালে বাংলাদেশের যে অবস্থা ছিল কাশ্মীরে সেই অবস্থা। সেই কাশ্মীরের জন্য আপনাদের মানবতা কোথায়?

আনু মুহাম্মদ বলেন, কাশ্মীর নিয়ে র‌্যাবের মহাপরিচালক পরিষ্কার বললেন, বাংলাদেশে কাশ্মীর নিয়ে কোনো কথা বলা যাবে না।’ কেন কথা বলা যাবে না কাশ্মীর নিয়ে? তিনি বলেন, কাশ্মীরসহ পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় যদি নির্যাতন হয়, অন্যায় হয় তার বিরুদ্ধে কথা বলা পৃথিবীর যে কোনো মানুষের একটা সাধারণ দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকে বাংলাদেশের মানুষ যাতে কথা বলতে না পারে সে জন্য র‌্যাব-পুলিশ হুমকি দিচ্ছে।

আবরারের ফেসবুক স্ট্যাটাস প্রসঙ্গে আনু মুহাম্মদ বলেন, দুই নম্বর সে পানি নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে। আবরার বলেছে, আমাদের যেখানে পানির সংকট, সেখানে পানি চলে যাচ্ছে ভারত। ভারতকে পানি দিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মন্ত্রীরা বলছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীও দেখলাম বললেন, পররাষ্ট্র সচিব বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- এটা মানবিক কারণে দেয়া হয়েছে।

আনু মুহাম্মদ বলেন, মানবিক কারণে এর আগে তিতাস নদীতে বাঁধ দিয়ে, তিতাস নদীকে নষ্ট করেছে। ভারতের বিদ্যুৎ সরঞ্জাম এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নেয়া হয়েছিল। মানবিক কারণে এর আগে বহু কাজ এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে গেছে। মানবকি কারণে এখন যে পানি আমাদের ভারতের কাছে প্রাপ্য সেই পানির কোনো সুরাহা না করে ফেনী নদী থেকে পানি এখন ভারতকে দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে মানবিক কারণে। মানবিক সরকার আপনাদের মানবিকতা বাংলাদেশের জন্য কোথায়? বাংলাদেশের জন্য আপনাদের মানবিকতা কোথায়?