মাদক ব্যবসায়ীদের হামলার টার্গেটে বিজিবি
নিজস্ব প্রতিবেদক: এবছর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের ওপর মাদক কারবারিদের হামলা বেড়েছে বিগত বছর গুলোর তুলনায় অনেক বেশি। মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হামলায় জুলাইয়ে বিজিবি সদস্য আকমল হোসেনের (কমান্ডার নম্বর ৫০০৩২) মৃত্যু হয়। এবছর বিজিবির দায়ের করা মাদক মামলার সংখ্যা বেড়েছে। তবে কমেছে মাদক উদ্ধারের পরিমাণ।
বিজিবির সূত্রগুলো বলছে, গত বছর (২০১৮ সাল) মাদক কারবারিদের হামলায় বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়। অন্যদিকে, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত বিজিবির ৪২ জন সদস্য আহত হয়েছে। শুধু তাই নয়, চলতি বছর কারবারিদের হামলায় বিজিবির একজন সদস্য নিহত হন। বিজিবির বেশকয়েকটি সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিজিবির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে বিজিবি মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে ২০০৩টি মামলা দায়ের করে এবং ২১৫১ জন মাদক কারবারিদের আটক করে। অন্যদিকে, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত বিজিবি ২১৮৮টি মামলা দায়ের করেছে এবং ১৭৬০ জন মাদক কারবারিদের আটক করেছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর একাধিক অভিযানে বিজিবির উদ্ধার করা মাদকের পরিমাণ অর্ধেকে নেমেছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত বছর ৪১৮ কোটি ৮১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৬ টাকা মূল্যের মাদক উদ্ধার করেছে বিজিবি। যার মধ্যে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল, ১৩ হাজার ৬৮২ দশমিক ৩৪৩ কেজি গাঁজা, ৭৯ হাজার ২৮৬ বোতল বিদেশি মদ, ৪ হাজার ৬০৮ দশমিক ৩৫ লিটার দেশি মদ, ৩৬ হাজার ৪৩৫ বোতল বিয়ার, ৩৩ দশমিক ৩৫১ কেজি হেরোইন, ১ কোটি ২৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫১৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১৯ হাজার ৪৪৮টি নেশা জাতীয় ইনজেকশন রয়েছে।
এ বছর বিজিবির একাধিক অভিযানে মাত্র ২০৬ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার ৪৫৭ টাকা মূল্যের মাদক উদ্ধার হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় অর্ধেক।এর মধ্যে ২ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৬ বোতল ফেন্সিডিল, ৫ হাজার ২৪৯ দশমিক ৩৪২ কেজি গাঁজা, ৫১ হাজার ৬৫ বোতল বিদেশি মদ, ২ হাজার ১৯৭ দশমিক ৭০০ লিটার দেশি মদ, ২ হাজার ৮৪৫ বোতল বিয়ার, ১০ দশমিক ১০৮ কেজি হেরোইন, ৬১ লাখ ৪০ হাজার ৭৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৮ হাজার দুটি নেশা জাতীয় ইনজেকশন রয়েছে। বিজিবির সূত্রগুলো বলছে, মাদক উদ্ধারের পরিমাণ কমেছে কারণ হচ্ছে মাদক আসছে না। চোরাচালান রুট বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে বিজিবির মহাপরিচালক কোনো বক্তব্য দেন নি।