অফিসে বসেই মনগড়া বিদ্যুৎ বিল তৈরি, অভিযোগ গ্রাহকদের

ঢাকা: বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড মাদারীপুর অফিসের মিটার রিডাররা অফিসে বসেই বিদ্যুৎ বিল তৈরি করছেন। গ্রাহকদের অভিযোগ, তারা মনগড়া বিল পরিশোধ করতে বাধ্য করছে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি, জনবল সংকটের কারণে এ সমস্যা হচ্ছে। এদিকে শিগগিরই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।

গ্রাহকের বাসা বাড়িতে গিয়ে মিটার দেখে বিদ্যুৎ বিল তৈরি করার কথা থাকলেও মাদারীপুর বিদ্যুৎ বোর্ডের কর্মচারীরা তা মানছেন না। দুই বছরের বেশি সময় ধরে মিটার রিডাররা বাসা বাড়িতে না গিয়ে অফিসে বসে নিজেদের মনগড়া বিদ্যুৎ বিল তৈরি করছেন।

দুই একজন গ্রাহক এই বিল সংশোধন করলেও বাকী গ্রাহকরা বাধ্য হয়ে এই বিল দিচ্ছেন। ফলে বিদ্যুৎ নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমছে না।

ভুক্তভোগীরা জানান, দেখা যায় এই মাসে আসছে ৫০০, পরবর্তী মাসে আসছে ১৫০০। তারা মনগড়া মিটারের পয়েন্ট লিখে তারা বিল তৈরি করে হাতে ধরিয়ে দেন।
এদিকে আরেকজন জানান, আমাকে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বিল সংশোধন করতে হয়। এতে দেখা যায় আমি বিরাট হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছি।
ভুক্তভোগীরা জানান, তারা যেন মিটারের কাছে এসে মিটারের পয়েন্ট দেখে বিল তৈরি করেন। তবে জনবল সঙ্কটে এই সমস্যা হচ্ছে দাবি বিদ্যুৎ বিভাগের।
মাদারীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার আলী হাওলাদার বলেন, একজন মিটার রিডারদের দায়িত্ব প্রতি আঠারশ’ গ্রাহকের মিটারের বিল দেখা। বাকী যে মিটারগুলো এইগুলো বাহিরের লোক দিয়ে আনাই হয়, তারা অনেক সময় ভুল করেন। এই জন্য আমরা প্রিপেইড মিটারের যাওয়ার চেষ্টা করছি।’
এদিকে গ্রাহকদের সমস্যা হচ্ছে বলে, শিগগিরই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ওয়াহিদ ইসলাম বলেন, বিদ্যুতের যে কর্মকর্তাবৃন্দরা আছেন তাদেরকে বলবো, যারা মিটার রিডার হিসেবে কাজ করছেন তাদের কার্যক্রম যেন মনিটরিং করা হয়। যাতে তারা সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতে না পারে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড মাদারীপুর অফিসের আওতায় ২০ হাজার গ্রাহকের বিপরীতে ১২ জন মিটার রিডির থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ৩ জন।