স্টকলটের আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা, ৭০ হাজার ইয়াবাসহ আটক ১০

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ঢাকা: রাজধানীতে ৭০ হাজার ইয়াবার একটি চালান আটকের কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ; আটক করা হয়েছে দশজনকে। ঢাকা মহানগর পুলিশে উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) মারুফ হোসেন সরদার আজ মঙ্গলবার সকালে জানান, আগের রাতে দারুসসালাম এলাকা থেকে ওই দশজনকে আটক করা হয়। “আটকদের মধ্যে ভুট্টো নামে একজন রয়েছে, সে ইয়াবার ডিলার। বাকিরা তার সহযোগী।” ৭০ হাজার ইয়াবা পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত দুটি গাড়িও গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে বলে মারুফ হোসেন জানান।

তবে আটক বাকিদের নাম-পরিচয় বা ওই চালান কোথা থেকে আনা হয়েছে- সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি পুলিশ। মারুফ হোসেন বলেন, “আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।

স্টকলটের আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা:

স্টকলটের আড়ালে ইয়াবা বিক্রি করছে একটি চক্র। শুধু তাই নয়, ইয়াবা চোরাচালানের সঙ্গে আরো ১০ থেকে ১২ দেশি-বিদেশী সিন্ডিকেট জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এমন দু’জনকে চিহ্নিত করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম। সোমবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে রাজধানীর দারুস সালাম থানা এলাকায় দারুস সালাম টাওয়ারের ক্যালকাটা ড্রাই ক্লিনার্সের সামনে থেকে ৭০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ১০ জনকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

এ সময় তাদের কাছ থেকে মাদক সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত ২টি প্রাইভেটকারও উদ্ধার করা হয়। আটককরা হলেন- মূল হোতা মনবী হোসেন ওরফে ভুট্টো, আরিফুল হাসান, মিঝু হোসেন ওরফে হোসেন, শরিফ সিকদার ওরফে আব্বাস, ইয়াছিন, মনিরুজ্জামান ওরফে মনির, হামিদুল, রায়হান ফরাজী এবং স্টকলট ব্যবসায়ী তাকবির মুরাদ ওরফে মামুন ও ওবায়দুল্লাহ।

আজ মঙ্গলবার (০১ মার্চ) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, উত্তরার দুই ব্যক্তি স্টকলট ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছিল। মায়ানমারের তিন ব্যক্তি এ ইয়াবা ঢাকায় পাচার করে। যাদের নামা-ঠিকানা আমরা পেয়েছি। কাউন্টার টেরেরিজম যেহেতু বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত অপরাধ নিয়ে কাজ করবে। তাই আমরা এ মাদকের অপরাধটি নিয়েও তদন্ত করবো। মায়নমারের ওই তিন ব্যক্তির নাম-ঠিকানা আমরা সীমান্তে পাঠাবো। আমরাও কাজ করবো। মনিরুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে। রিমান্ড পেলে এ বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, মাছের ট্রলারে করে নদীপথে ইয়াবা চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশে তিন ব্যক্তি এ চালান রিসিভ করে। এরপর তারা বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও বাসের হেলপারের সহযোগিতায় ঢাকায় পাঠায়। ঢাকায় ওই স্টকলট ব্যবসায়ীরা তা রিসিভ করে বন্টন করে থাকে। আমরা রাজধানীর কিছু খুচরা বিক্রেতাদের নাম পেয়েছি। তাদের তালিকা তৈরি করে অভিযান চালানো হবে। গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভুট্টো কক্সবাজারের মোহাম্মদ আলী, সোহেল মিয়া ও হারুনদের কাছ থেকে ইয়াবা বড় বড় পরিবহনের মাধ্যমে ঢাকায় এনে মিঝু হোসেন ওরফে হোসেন, শরিফ সিকদার ওরফে আব্বাস, হামিদুলদের কাছে বিক্রি করার জন্য সরবরাহ করতো।#