গুয়ানতানামো বে কারাগার চালু রাখার ঘোষণা দিলো ট্রাম্প

ডেস্ক: কিউবার গুয়ানতানামো বে এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নৌঘাঁটিতে বহুল বিতর্কিত কারাগারটি চালু রাখতে নির্বাহী আদেশ দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথম স্টেট অব দি ইউনিয়ন ভাষণে ট্রাম্প জানিয়েছে, কারাগারটি চালু রাখার আদেশে সে সই করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কারাগারটি বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলো; কিন্তু ট্রাম্প ওমাবার সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান নিয়ে এটি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিলো।

যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের সিদ্ধান্তে তড়িঘড়ি করে গুয়ানতানামো বের নৌঘাঁটিতে কারাগারটি স্থাপন করা হয়। বর্তমানে কারাগারটিতে ৪১ জন বন্দি রয়েছে। ওবামার আমলে কারাগারটিতে থাকা কয়েক শ’ বন্দিকে অন্যান্য জায়গায় স্থানান্তর করা হয়।

মঙ্গলবার স্টেট অব দি ইউনিয়ন ভাষণে ট্রাম্প বলে, ‘আমাদের সামরিক আটক নীতি পুনঃপরীক্ষা ও গুয়ানতানামো বে আটককেন্দ্র চালু রাখার বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিসকে নির্দেশনা দিয়ে এক আদেশে আমি সই করেছি।’ সে বলে, ‘সন্ত্রাসীরা নিছক অপরাধী নয়। তারা নিষিদ্ধ শত্রু যোদ্ধা। বিদেশে যখন তারা ধরা পড়ে, তারা যেমন ধরনের সন্ত্রাসী তাদের সঙ্গে তেমনই ব্যবহার করা উচিত।’ ট্রাম্পের ভাষণের পর হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, কারাগারটি বন্ধ করার প্রক্রিয়া থামিয়ে দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে। যখন প্রয়োজন হবে তখন মার্কিন প্রশাসন শত্রুপক্ষের যোদ্ধাদের কারাগারটিতে রাখতে পারবে।

গুয়ানতানামো বে কারাগারে প্রথম বন্দি পাঠানো হয়েছিল ২০০২ সালের জানুয়ারিতে। তারপর থেকে সাত শতাধিক বন্দিকে কারাগারটিতে রাখা হয়েছিল। তাদের অনেককেই কোনো অভিযোগ ছাড়াই বিনা বিচারে আটকে রাখা হয়েছিল। অভিযোগ ছাড়াই বিনা বিচারে আটক রাখা ও বন্দিদের নির্যাতন করার অভিযোগে নিয়ে কারাগারটির বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। ব্যাপক সমালোচনার মুখে ২০০৯ সালে ওবামা এক আদেশে সই করে কারাগারটি এক বছরের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।