৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের কতিপয় গার্মেন্টের মালিকের বিরুদ্ধে ইনভয়েস জালিয়াতির মাধ্যমে বছরে ৬৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

সোমবার দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দুদক সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

তিনি বলেন, এনবিআর এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়ে ‘সন্দেহভাজন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি মালিক’দের তথ্য চেয়েছে দুদক। সংস্থাটির উপ-পরিচালক বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের টিম বিষয়টি অনুসন্ধান করছে। সহকারী পরিচালক আতাউল কবির এবং বজলুর রশিদ টিমের অপর দুই সদস্য।

জানা যায়, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইউ) আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচারের বিষয়টি শনাক্ত করে। পরবর্তীতে সন্দেহভাজন মালিকদের একটি তালিকা দুদকে পাঠায় ব্যবস্থার নেয়ার জন্য। এ প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এদের মধ্যে আল মুসলিম গ্রুপের বিরুদ্ধে টাকা পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েছে দুদক।

সচিব বলেন, আল মুসলিম গ্রুপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রপ্তানির আড়ালে ১৭৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে দুদক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।

তিনি বলেন, আশা করা যায় এখন থেকে এনবিআর ওভার ইনভয়েসিংয়ের তথ্য পাওয়ামাত্র নিয়মিতভাবে দুদককে সরবরাহ করবে। বিদেশে অর্থ পাচার রোধে দুদক অত্যন্ত কঠোর। অর্থ পাচার রোধকল্পে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে দুদক বিএফআইইউ এবং সেন্ট্রাল অথরিটি তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা গ্রহণ করে।’