৫০ একর সরকারি জমি উদ্ধার করলো দুদক

নিউজ ডেস্ক:কক্সবাজার শহরে বেদখলে যাওয়া ৫০ একর সরকারি জমি উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিশেষ অভিযানের দ্বিতীয় দিনে বহুতল ভবন ও পাকা স্থায়ী ভবনসহ ৫০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

কক্সবাজার শহরের নতুন জেল গেট এলাকায় সোমবার সকাল ১০টা থেকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে সহায়তা করেন জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পুলিশ ও র‌্যাব।

এ সময় সরকারি জমি দখল ও পাহাড় কাটার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ জোবায়ের নামের এক জনকে আটক করা হয়। সে ওই এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে।

দুদক জানিয়েছে, সংস্থার অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ আসার পর তাদের তত্ত্বাবধানে পাহাড় কাটা ও সরকারি জমি দখলের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়।দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে পরিবেশ বিধ্বংসী ও সরকারি জমি অবৈধ ভাবে দখলে নেয়ার মতো তৎপরতা প্রতিহত করার কঠোর নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সকালে অভিযান শুরু করে বিকালে শেষ হয়।

অভিযানের নেতৃত্বদেন দুদকের চট্রগাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সেলিম শেখ ও পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান।অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া দুদকের চট্রগাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন বলেন, ‘দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশ পরিচালিত যৌথ এ অভিযানে কক্সবাজার শহরে পাহাড় কাটা বন্ধের পাশাপাশি প্রায় ৫০ একর সরকারি জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পেছনে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘পাহাড় কাটা, সরকারি জমি অবৈধভাবে দখলে নেয়ার মতো পরিবেশ বিধ্বংসী ও আইনবিরোধী কাজের প্রধান কারণ দুর্নীতি।‘‘প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নজরদারির অভাবে এই ধ্বংসযজ্ঞ ঘটছে। দুদক পাহাড় কাটার ঘটনার পেছনে দুর্নীতির উৎস অনুসন্ধান ও তদন্ত করবে। দায়ী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’’