৩৫০০ কোটি টাকার সুতা ও কাপড় অবিক্রিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাধারণ ছুটি বেড়েছে। দোকান, মার্কেট সব বন্ধ। দেড় হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হারিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেশীয় বস্ত্রকলগুলোয় কাজ নেই। অলস পড়ে আছে মিলে মজুত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার সুতা ও কাপড়।

শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানিয়েছে বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কাপড় ও সুতা বিক্রি না থাকায় আর্থিক সংকটে পড়েছে মিলগুলো। সে জন্য কাঁচামাল আমদানি করতে পারছে না তারা। তাতে আগামী দুই ঈদের ব্যবসা থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কর্মীদের বেতন-ভাতা, গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংকঋণের কিস্তি পরিশোধে সমস্যায় পড়বেন মিলের মালিকেরা।

সংকট উত্তরণে আগামী জুন পর্যন্ত সুতা ও কাপড়ের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার, ছয় মাসের জন্য মেয়াদি ঋণের সুদ মওকুফ, সুদ, ভ্যাট ও সারচার্জ ছাড়া আগামী ছয় মাসের গ্যাস-বিদ্যুতের বিল ১২ মাসের সমান কিস্তিতে পরিশোধ, বস্ত্রকলে ব্যবহৃত রং ও রাসায়নিক আমদানিতে জুন পর্যন্ত শুল্ক ও ছাড় দেওয়ার দাবি করেছে বিটিএমএ।

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বিটিএমএ সভাপতি বলেন, এ শিল্পের ওপর ১৫ লাখ মানুষ নির্ভরশীল। বস্ত্রকলগুলোর কারণে সুতা ও কাপড়ের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হয় না।

বিটিএমএ জানায়, সংগঠনটির সদস্য ৪৫০টি স্পিনিং মিলের মধ্যে প্রায় ২৫০টি ও ৮৫০টি উইভিং মিলের মধ্যে প্রায় ৫০০টি দেশের মানুষের চাহিদা পূরণে কাজ করে। এসব মিলের সহায়ক হিসেবে কাজ করে ২০০ টির মতো ডায়িং ও ফিনিশিং মিল।