৩২ কোটি টাকার সূর্যমুখী বীজ বিক্রির স্বপ্ন

৩২ কোটি টাকার সূর্যমুখী বীজ বিক্রির স্বপ্ন

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা: জেলায় চলতি বছর ২০০ হেক্টর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করে ৩২ কোটি টাকা বীজ বিক্রির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে জেলাকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছে সংশ্লিষ্ট চাষিসহ কৃষি বিভাগ।

গতকাল জুমুয়াবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চর মাধবরাম গ্রামে রাজস্ব ফলোআপ ও প্রণোদনা কর্মসূচি-২০২১ এর আওতায় সূর্যমুখী আবাদ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চর মাধবরাম গ্রামের সূর্যমুখী চাষি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, গত বছর ২১ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে বেশ লাভবান হওয়ায় এবার ৫০ বিঘা জমিতে চাষ করছি। আশা করছি, গতবারের চেয়ে এবার বেশি লাভ করতে পারবো।

তিনি জানান, সূর্যমুখী চাষে বিঘা প্রতি চার হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন ভালো হলে এক বিঘা জমিতে কমপক্ষে সাত মণ বীজ হবে। প্রতিমণ বীজ সাড়ে তিন হাজার টাকায় বাজারে বিক্রি হয়। অন্যান্য আবাদের চেয়ে সূর্যমুখী অনেক লাভজনক। আশা করছি খরচ বাদেও কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার বেশি সূর্যমুখী বীজ বিক্রি হবে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মন্জুরুল হক জানান, গত বছর জেলায় ২০ হেক্টর জমিতে সুর্যমুখী চাষ হলেও চলতি বছর চাষ হয়েছে ২শ’ হেক্টর জমিতে এবং তা থেকে ৩২ কেটি টাকা আয় হবে কৃষকদের। আগামী বছর জেলার চরাঞ্চলগুলোতে সূর্যমুখীর চাষ আরও বাড়বে।
মাঠ দিবসের আলোচনায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম বলেন, দেশে বসতবাড়ী নির্মাণের ফলে আবাদী জমি কমে যাচ্ছে। এজন্য দেশের চর ও হাওর এলাকায় প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণে কাজ করা হচ্ছে। আগামী আউস ও আমন মৌসুমকেও প্রণোদনার আওতায় আনা হবে।