১ কেজি ক্যাপসিকাম ২০০ টাকা, লাভবান চাষিরা

ক্যাপসিকাম চাষে লাভবান চাষীরা

ভোলা সংবাদদাতা: ভোলার চরাঞ্চলগুলোতে মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দিন দিন বাড়ছে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকামের আবাদ। কম খরচ ও পরিশ্রমে বেশি লাভজনক হওয়ায় ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। গত বছরের চেয়ে চাষ হয়েছে দ্বিগুণ।

এ সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক চাষির। তবে সরকারি সহযোগিতা পেলে এ চাষে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে মনে করছেন চাষিরা। অন্যদিকে মাঠ পর্যায়ে সঠিক পরামর্শ ও তদারকির ফলে চাষিরা সফল হচ্ছে বলে দাবি কৃষি বিভাগের।

কৃষকরা জানান, ভোলা সদরের মাঝের চরে প্রায় ৬-৭ বছর আগে কাচিয়া ইউনিয়নের মনির পাঠান নামের এক ব্যক্তি ১০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ করেন। তাতে সফলতা পেয়েছেন তিনি। পরের বছরই তিনি বড় পরিসরে চাষ শুরু করেন। তখনও বেশ লাভবান হন। তার দেখাদেখি অন্য চাষিরাও আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ভোলার মাঝের চরে বর্তমানে ১৫০-২০০ জন চাষি ক্যাপসিকাম চাষ করছেন। এ বছরও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ব্যাপক ফলন হয়েছে। আর পাইকারি বাজারেও ভালো দাম পাচ্ছেন।

ভোলা সদরের কাচিয়া মাঝের চরের ক্যাপসিকাম চাষি হান্নান জানান, তিনি প্রায় ২ একর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। এতে তার প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন। ক্ষেতে যে ফসল আছে তাতে আরও ৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন।

চাষি হাসেম কেরানী জানান, এ বিদেশি সবজি চাষ করে অনেক লাভ হয় শুনে তিনি এবছর ৩ একর জমিতে চাষ করেছেন। শ্রমিকের মজুরি, বীজ, সার, ওষুধ ও জমির লগ্নিসহ সব মিলিয়ে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তিনি ৭ লাখ টাকার সবজি বিক্রি করেছেন। আরও ৭ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন। চাষি সিদ্দিক জানান, আগে ভোলার এ চরে ২৫-৩০ জন এর চাষ করতেন। এখন ১৫০-২০০ জন রয়েছেন। দিন দিন চাষির সংখ্যা বাড়ছে। কারণ এটি লাভজনক একটি ফসল। হাসেম ব্যাপারী জানান, পাইকারি বাজারে এর চাহিদা অনেক। প্রতি কেজি ১৫০-২০০ টাকা বিক্রি হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এটি রফতানি হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, এ বছর জেলায় ক্যাপসিকাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হেক্টর। আবাদ হয়েছে দ্বিগুণ। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ১৫ হেক্টর ও দৌলতখান উপজেলায় ১৫ হেক্টর চাষ হয়েছে।

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ জানান, এ বছর ক্ষেতে কোনো প্রকার পোকার আক্রমণ নেই। তাই চাষিরা আগের চেয়ে অনেক লাভবান হবেন। ক্যাপসিকাম চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছে।