১৯৫ বস্তা ধান জব্দ, উপ-খাদ্য কর্মকর্তা অঞ্জন কুমারের কারাদন্ড

উপ-খাদ্য কর্মকর্তা অঞ্জন কুমারের কারাদন্ড

আমতলী প্রতিনিধি : আমতলীতে সরকারি ধান ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় ইউএনও মনিরা পারভীন খাদ্য গুদামে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে ক্রয়কৃত ১শ’ ৯৫ বস্তা ধান জব্দ করেন।

এ অনিয়ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে উপ-খাদ্য পরিদর্শক অঞ্জন কুমার ডাকুয়াকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- ও ধান সরবরাহকারী ফেরদৌসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

জানা গেছে, এ বছর আমতলী উপজেলায় কৃষকের নিকট থেকে সরকারি ভাবে ১ হাজার ৪০ টাকা মণ দরে ২ হাজার ৯১ টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। খাদ্য বিভাগ ওই ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করবেন।

কিন্তু খাদ্য বিভাগ সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় না করে স্থানীয় এক শ্রেনীর দালালের মাধ্যমে নিম্নমানের দূর থেকে কম দামে নিম্নমানের ধান ক্রয় করছেন। বৃহস্পতিবার সকালে গোপনে সেই ধান পৌর শহরের সবুজবাগ এলাকায় অবস্থিত সরকারি খাদ্য গুদামে মজুদ করার সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় তিনি অবৈধভাবে ধান সরবরাহকারী ফেরদৌস এর নিকট থেকে ১শ’ ৯৫ বস্তা ধান ক্রয়ের সত্যতা পান। ফেরদৌস আমতলী সদর ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী গ্রামের ৫জন কৃষকের কার্ড সংগ্রহ করে ওই কার্ডের অনুকুলে খাদ্যগুদামে ধান সরবরাহ করার জন্য গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার মেসার্স দীপ্ত এন্টারপ্রাইজের মালিক সুনিল সমাদ্দার এর আড়ৎ থেকে নিম্নমানের ধান ক্রয় করে সেই ধান ট্রাক যোগে আমতলী এনে খাদ্যগুদামে সরবরাহ করে।

এছাড়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত) শফিকুল ইসলাম এবং ওসিএলএসডি রবীন্দ্র নাথ মন্ডলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করেন।

আমতলী থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, জব্দকৃত ধান পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন বলেন, কৃষকের নিকট থেকে সরাসরি ধান কেনার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তাদের কাছ থেকে ধান না কিনে খাদ্য বিভাগের লোকজন দালালের মাধ্যমে নিম্নমানের ধান ক্রয় করে খাদ্য গুদামে মজুদ করার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করি। ঘটনার সত্যতা পেয়ে উপ-খাদ্য কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার ডাকুয়াকে ১০ দিনে বিনাশ্রম কারাদ- ও ধান সরবরাহকারী ফেরদৌসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জব্দকৃত ধান পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়েছে। এ ধান পরবর্তীতে নিলামে বিক্রি করা হবে।