১৩তম নিবন্ধনধারী ২৫৩ শিক্ষককে শূন্য পদে কেন নিয়োগ নয়

১৩তম নিবন্ধনধারী ২৫৩ শিক্ষককে শূন্য পদে কেন নিয়োগ নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় সনদধারী নিয়োগ বঞ্চিত ২৫৩ জন প্রার্থীকে বিভিন্ন শূন্য পদের বিপরীতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা) কেন নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে এই রুলের জাবাব দিতে বলা হয়েছে।

একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

আদালতে এদিন রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাছিমুল ইসলাম।

আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, ‘১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারীদের ২০১৬ সালের পরীক্ষার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে শূন্য পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করার নিয়ম থাকলেও এনটিআরসি কর্তৃপক্ষ তা না করায় কিছুসংখ্যক প্রার্থী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

‘হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেন। পরবর্তীতে এনটিআরসি আপিল করলে তাও খারিজ করেন কর্তৃপক্ষ। ওই আবেদন আপিল বিভাগে বহাল থাকে। ওই রায়ের আলোকে বর্তমান রিটকারীগণ শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগের সুপারিশ প্রার্থনা করে রিট দায়ের করেছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘পূর্বের আবেদনকারীদের মতো বর্তমান রিটকারীগণও নিয়োগের সুপারিশে সমান সুযোগ পাবেন বলে আমি মনে করি।’

রিটকারীগণ হলেন- মো. সুমন, মো. সাইফুল্লাহ্, মো. আব্দুল জলীল, মো. গোলজার হোসেন, মো. দেলোয়ার হোসেন, আব্দুর রহিম, রাহাতুল আশিকিন, মো. সোহেল, ফারুকুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, মো. বিল্লাল হোসেন, রাজিব রঞ্জন দাস, শহিদ আলম, কামরুন নাহার, মো. হাবিবুর রহমান, মো. জসিম উদ্দিন, জেসমিন আক্তার, রেজাউল করিম, মংশে মারমা ও গোবিন্দ চন্দ্র দাসসহ ২৫৩ জন।