হিলারি প্রায় ১০১ কোটি ৪০ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা দিয়েছিল ড. ইউনূসকে

নিউজ নাইন ২৪, ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদপত্র দ্য ডেইলি কলার নিউজ ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তত ১৩ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১০১ কোটি ৪০ লাখ অর্থ সহায়তা দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।

গতকাল সোমবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালে ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের পদ হারানোর পর ইউএসএআইডির ১৮টি পৃথক সংস্থার মাধ্যমে এ অর্থ পেয়েছিলেন তিনি। তিন দশক ধরে ক্ষুদ্র ঋণের জন্য ইউনূস বেশ প্রশংসিত হলেও এ সমস্ত কাজেই হিলারি এবং বিল ক্লিনটন তাকে বড় মাপের তারকা হতে প্রত্যক্ষ সহায়তা করে আসছেন।

ডেইলি কলার জানায়, ইউএসএআইডি থেকে আরও ১ কোটি ১০ লাখ ডলার ১১টি প্রতিষ্ঠান পেয়েছিল যার সবগুলো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইউনূসের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে।

তদন্ত সম্পর্কে এফবিআইয়ের অপরাধ বিভাগের সাবেক সহকারি পরিচালক রবার্ট টি হোস্কো জানান, যদি ডেইলি কলার নিউজ ফাউন্ডেশন এসব তথ্য পেয়ে থাকে, তবে এফবিআইয়ের কাছেও এসব রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এফবিআই কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

বাংলাদেশ সরকার যখন মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ আনে তখন ইউনূসের পক্ষে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো হিলারি।

ডেইলি কলার দাবি করে, বিল ক্লিনটন ও হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভারের তথ্য থেকে জানা যায়, ইউনূসের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়টি তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন।

যুক্তরাষ্টের সিটিজেন্স ইউনাইটেড দলের নেতা ডেভিড বশিয়ে ইউনূসের জন্য ক্লিনটনের এ পদক্ষেপে হিলারির স্বার্থের সংঘাত ঘটিয়েছেন দাবি করে ডেইলি কলারকে বলেন, ‘পররাষ্ট্র দপ্তরের কাজ এবং ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের ডোনারদের সুবিধা দিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধারের এ কাজটি একটি বড় উদাহরণ (স্বার্থের দ্বন্দ্বের)। ই-মেইল ফাঁসের সঙ্গে এটারও তদন্ত করতে পারে এফবিআই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএসএআইডির মুখপাত্র রাফায়েল কুক ডেইলি কলারকে জানান, এ বিষয়ে সামগ্রিক তথ্য দেওয়ার মতো কোনো লোক এ মুহূর্তে তাদের কাছে নেই।

গ্রামীণ ফাউন্ডেশন এবং যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। হিলারির প্রচার দল ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের মুখপাত্ররাও কোনো ধরনের মন্তব্য করেনি বলে জানায় ডেইলি কলার।

খবরে বলা হয়, ২০০৭ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে সেনাবাহিনীর কাছে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ইউনূস বেশ শক্ত অবস্থানে ছিলেন। ইউনূসও নতুন দল করার চিন্তা-ভাবনা করা শুরু করেছিলেন সেই সময়।