হিমাগারের অভাবে ইলিশ পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে

নিউজ ডেস্ক:

কক্সবাজারের টেকনাফের উপকূলে সাগরে গত দুই দিনে ৩০০ মেট্রিকটনের বেশি মাছ ধরা পড়েছে। কিন্তু  হিমাগার না থাকায় ,শঙ্কা দেখা দিয়েছে পচনের। লবণ ও বরফের দাম বেড়ে যাওয়ায় সংরক্ষণ খরচও বেড়ে গেছে এবং মাছ সংরক্ষন করতে না পারায়  কম দামে ইলিশ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন জেলেরা ।

আগে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লেও দাম কম ছিল না। তবে এবারই বেশি ইলিশ ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও অর্ধেকে নেমে এসেছে।
টেকনাফের বিভিন্ন অঞ্চলে সমুদ্র উপকূলে গিয়ে দেখা যায়, অল্প কিছু পরিমাণ ইলিশ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। কোথাও কোথাও পঁচে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের এই সোনা থেকে।

সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় জেলেদের সঙ্গে। তারা জানান্য তাদের দুঃখের গল্প। এবার ইলিশ বেশি ধরা পড়ায় দাম পড়ে গেছে। এছাড়া নেই সংরক্ষণের ব্যবস্থা। বরফ দিতে না পারায় রোদের তাপে অনেক মাছ পঁচে গেছে।

জানা গেছে, চলতি মৌসুমে গত দুই দিনে প্রতি মণ ছোট (৪০০-৬০০ গ্রাম) ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি পড়ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।বড় (৭০০-৮০০ গ্রামের বেশি) ইলিশ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় সাগরে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। গত দুই দিনের ৩০০ মেট্রিকটন মাছ জেলা ও বিভাগীয় শহরে সরবরাহ করা হয়েছে।

পাইকাররা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে এক খন্ড বড় বরফ কিনতে গুণতে হত ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। এর দাম বেড়ে দাড়িয়েছে ২৫০ টাকা। এছাড়া খোলা লবণও কেজি প্রতি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।কিন্তু যদি হমাগার থাকত তাহলে এই ভোগান্তিতে পরতে হতো না কৃষকদের।