হিন্দুত্ববাদী স্লোগান দিতে রাজি না হওয়ায় মুসলিম কিশোরের পুড়িয়ে হত্যা

হিন্দুত্ববাদী স্লোগান দিতে রাজি না হওয়ায় মুসলিম কিশোরকে পুড়িয়ে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হিন্দুত্ববাদী স্লোগান দিতে না চাওয়ায় কিশোরের গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে যোগীর রাজ্যে উগ্র হিন্দুরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৫ বছরের ওই মুসলিম কিশোর। শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে তার। কয়েকদিন আগেই মোদী দাবি করেছিল বিদ্বেষ মূলক আচরণ আর গণপিটুনির ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে পশ্চিমবঙ্গে।

সোমবার এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বাস্তবটা।উগ্র হিন্দুত্ববাদী স্লোগান এখন রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে থেকেই এই স্লোগান ঘিরে তোলপাড় চলছে গোটা দেশে। তার আঁচ লোকসভাতেও পৌঁছে গিয়েছে। এই প্রথম লোকসভায় সাংসদদের মুখে ভারতের জয় সঙ্গে উচ্চারিত হয়েছে এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী স্লোগান।

উগ্র হিন্দুত্ববাদী স্লোগান নিয়ে গণপিটুনির মতো ঘটনাও ঘটেছে। উত্তর প্রদেশের চান্দৌলি জেলায় এক ১৫ বছরের মুসলিম কিশোরকে জয় শ্রীরাম বলতে জোর করা হয় । কিন্তু কিশোর তাতে রাজি না হওয়ায় তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিস। চন্দৌলি পুলিসের দাবি কিশোর নিজের গায়ে আগুন দিেয় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। এর সঙ্গে উগ্র হিন্দুত্ববাদী স্লোগানের কোনও সম্পর্ক নেই।

চন্দৌলির পুলিস সুপার সন্তোষ কুমার সিং দাবি করেছে, কিশোর মিথ্যে অভিযোগ করছে। একাধিক ব্যক্তিকে একাধিক কথা বলছে কিশোর এমনই দাবি করেছেন পুলিস সুপার। তবে কিশোরের ৭০ শতাংশ শরীর পুড়ে গিয়েছে সে ঘটনা সে মেনে নিেয়ছে। তাঁকে গ্রামীণ হাসপাতালে থেকে বেনারসের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল সেখানেই এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী জয় শ্রীরাম স্লোগানের অভিযোগ করেছে কিশোর। সেখানে কিশোর পুলিসকে জানিয়েছে চার দুষ্কৃতী তাকে বাইকে করে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল। এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদী স্লোগান  জয় শ্রীরাম বলতে জোর করছিল। সেটা না করায় তার গায়ে আগুন দিয়ে দেয়।