স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যথার নেপথ্যেআপনার প্রিয় প্রযুক্তি যন্ত্র

আমেরিকান সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিওলজিস্টস (এএসএ) দেশজুড়ে জরিপ চালাচ্ছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসটিকে তারা দেহের যাবতীয় ব্যথায় সচেতনতা সৃষ্টি মাস হিসাবে পালন করছে। জরিপে দেখা গেছে, তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তি ও ফিটনেস ভালোবাসে। আর এসবের কারণে স্বল্প এবং দীর্ঘস্থীয় ব্যথায় ভুগছে তারা। চোখে জ্বালাপোড়া, গলায় ব্যথা, হাত ও আঙুলে যন্ত্রণা, কব্জি আর হাতে ব্যথাসহ মাইগ্রেন বা ব্যায়ামের ব্যথাতেও ভুগছে।

জরিপে দেখা গেছে, ৭৫ শতাংশ তরুণ-তরুণী হঠাৎ ব্যথার শিকার হন। সেই ব্যথা তিন মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। প্রায় ৬০ শতাংশ ক্রনিক ব্যথায় ভুগচেন। এই ব্যথা তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ভোগাচ্ছে। তবে নিচের পন্থায় তারা ব্যথা কার্যকর উপায়ে সামলে নিচ্ছে।

১. যেকোনো ইলেকট্রনিক যন্ত্রকে বিদায় জানাতে হবে।

গেম পরিত্যাগ করতে হবে। স্মার্টফোন, ট্যাব, গেমিং এবং অন্যান্য ডিজিটাল যন্ত্রের অতিব্যবহারের কারণে ব্যথা সৃষ্টি হয়। এটা থেকে মুক্তি পেতে দৃষ্টিপথের সমান্তরালে যন্ত্রটা রাখতে হবে। মাথা নিচু করে এটা দেখলে চলবে না। এতে করে প্রচণ্ড ব্যথা জমতে থাকে ঘাড়ে। চোখ ও স্ক্রিনের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখাও অতি জরুরি বিষয়।

২. একটানা দীর্ঘক্ষণ টেবিলে বা অন্য কোথাও বসে থাকবেন না। তা যত জরুরি কাজই হোক না কেন। গবেষণায় বলা হয়, প্রতি এক ঘণ্টা পর অন্তত ৫ মিনিটের ব্রেক নেওয়া দরকার। একটু হাঁটাহাঁটি করে আসুন। নয়তো ব্যাক পেইনের যন্ত্রণায় পড়তে হবে। হাত-পাগুলো এদিক সেদিন নড়াচড়া করান। এতে জড়ভাব কেটে যাবে।

৩. স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হোন। যেভাবে জীবনযাপন করছেন, প্রয়োজনে অন্য উপায়ে চলুন। আসলে ব্যথা নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধ করা অনেক ভালো। নিয়মিতভাবে অ্যারোবিকসহ ভারী ব্যায়াম করতে পারেন। স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন। ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খেতে হবে। ধূমপান বা অ্যালকোহলের মতো বাজে অভ্যাসগুলো ছেড়ে দিতে হবে।

৪. যদি ব্যথা নিরাময়ে অপিয়ড ব্যবহার করেন, তবে নিশ্চিত হয়ে নেবেন ওটা যেন ঠিক উপায়ে ব্যবহৃত হয়। যদি চিকিৎসক অপিয়ড দেন আপনাকে, তবে অবশ্যই জেনে নেবেন এটা সঠিকভাবে ব্যবহারের পদ্ধতি। আর ব্যথা নিরাপয়ে নিয়মিতভাবে অপিনয়েড ব্যবহার করবেন না। সমস্যা মিটে গেলেও যদি এগুলো থেকেই যায়, তা ফেলে দিন কিংবা সম্ভব হলে ফেরত দিয়ে আসুন।