সোনার বারসহ গ্রেপ্তার হওয়া চীনের নাগরিকরা রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় সাড়ে পাঁচ কেজি সোনার বারসহ গ্রেপ্তার হওয়া চীনের দুই নাগরিকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
যাদের রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- চেন জিফা (২৭) ও দিং শাউশেং (৩৫)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোক্তারুজ্জামান আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, আসামিরা চীনের নাগরিক। চীনা ভাষায় কথা বলে। ভাঙা ভাঙা ইংরেজি বোঝে। আসামিরা বাংলাদেশে এসে কোথায় অবস্থান করে, কার আশ্রয়ে থাকে, স্বর্ণ সংগ্রহের উৎস সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা এবং স্বর্ণগুলো কার নিকট ও কোথায় হস্তান্তর করত সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

বুধবার ওই দুই চীনা নাগরিককে সোনাসহ আটক করা হয়। তারা দুটি সোলার হোম সিস্টেমের ভেতরে সোনার বারগুলো বহন করছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সোনার চালানটি জব্দ করেন ঢাকা কাস্টম হাউসের প্রিভেনটিভ দলের সদস্যরা। জব্দ করা সোনার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

ঢাকা কাস্টম হাউসের উপ-পরিচালক অথেলো চৌধুরী জানান, সোনা পাচারের গোপন খবর পেয়ে বিমানবন্দরের ভেতরে বোর্ডিং ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নেন প্রিভেনটিভ দলের সদস্যরা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শারজাহ থেকে আসা একটি ফ্লাইট বিমানবন্দরে অবতরণের পর দুই চীনা যাত্রীকে ৯ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজ থেকে অনুসরণ করা হয়। গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের পর তাদের কাছে শুল্ক কর আরোপযোগ্য কোনো পণ্য আছে কি না, তা জানতে চাইলে তারা অস্বীকার করেন। এরপর তাদের লাগেজগুলো স্ক্যানারে দেওয়া হলে দুটি লাগেজেই ধাতব পদার্থের ইমেজ পাওয়া যায়। পরে লাগেজ দুটি খুলে একই ধরনের দুটি জিপাস ব্যান্ডের সোলার হোম সিস্টেম পাওয়া যায়। সোলার সিস্টেমের ব্যাটারি খুলে ১০ তোলা ওজনের ২৪টি করে মোট ৪৮টি সোনার বার পাওয়া যায়। জব্দ করা সোনার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।