‘সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে’

নিউজ ডেস্ক: সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘মাতৃভূমির অখণ্ডতা রক্ষা তথা জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলাসহ দেশের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে দেশের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অভূতপূর্ব অবদান রাখছে।’

সেনাপ্রধান বলেন, ‘১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রণীত প্রতিরক্ষানীতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিরক্ষা নীতি-২০১৮ এর আলোকে সেনাবাহিনীর উন্নয়ন সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে আমরা বিশ্বাসী। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে ‘ফোর্সেস গোল- ২০৩০’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর কাঠামো বিন্যাস ও পরিবর্তনের পাশাপাশি আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বুধবার চট্টগ্রামের হালিশহরে সেনাবাহিনীর আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গোলন্দাজ রেজিমেন্টের কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন।

সৈনিকদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে অত্যাধুনিক ও বাস্তবসম্মত প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। কোনো প্রশিক্ষণই ফলপ্রসূ হবে না, যদি আমাদের মৌলিক প্রশিক্ষণে ঘাটতি থাকে। তাই বেসিক সোলজারিংয়ের ওপরে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ উৎকর্ষতা ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণেও উৎকর্ষতা আনতে হবে। সবাইকে ভবিষ্যৎ যুদ্ধক্ষেত্রে সকল ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

বর্তমান সরকারের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৮টি লং রেইঞ্জ এমএলআরএস (টাইপ-বি), ২০টি ওয়ান ফিফটি ফাইভ গান সিস্টেম এবং ১০ পদাতিক ডিভিশনের নবগঠিত মর্টার রেজিমেন্টের জন্য ২০ ওয়ার টুয়েন্টি মিলিমিটার আধুনিক মর্টার ক্রয়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে সেনাপ্রধান জানান।

রেজিমেন্ট কালার প্যারেডে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর হায়দার। সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১, ২, ৩ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি ও ৩৮ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারি প্রধানদের হাতে রেজিমেন্ট কালার প্রদান করেন।

রেজিমেন্ট কালার পাওয়া ইউনিটগুলো হলো- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১, ২, ৩ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি ও ৩৮ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারি। সেনাবাহিনী প্রধান প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং সালাম গ্রহণ করেন।