সীমান্তে চোরাচালান: রাঘব বোয়াল নয়, ধরা পড়ছে গ্রাউন্ড অপারেটর

ঢাকা: সীমান্তে চোরাকারবারী গ্রেফতার প্রসঙ্গে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, যারা ধরা পড়ছে তারা সবাই গ্রাউন্ড অপারেটর। এ যাবৎ বিএসএফের গুলিতে নিহত সবাই সাধারণ মানুষ। ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এরা। বিজিবি সদর দফতরে নিজ কার্যালয়ে আলাপে তিনি এসব কথা বলেন। ক্ষুদ্রাস্ত্র চোরাচালান প্রসঙ্গে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, মাদকের পাশাপাশি প্রায়ই সীমান্তে ক্ষুদ্রাস্ত্রসহ দু-একজন ধরা পড়ছে। যেসব অস্ত্র ধরা পড়ছে সেগুলোর গায়ে ইউএসএ লেখা। তবে এগুলো আদৌ ইউএসএ-র কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। এছাড়া যারা ধরা পড়ছে, তাদের বিষয়ে পরবর্তী ফলোআপ করা হয় না।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আটকের পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে তার বিষয়ে আর খোঁজ-খবর নেয়া হয় না। ওই ব্যক্তিকে কারা অস্ত্র পাঠালো বা কার অস্ত্র এসব বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়ার সুযোগ হয় না বিজিবি’র।

আজিজ আহমেদ বলেন, সীমান্তে অনেক ধরনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে গরু, মাদকদ্রব্য, মানবপাচার উল্লেখযোগ্য। এসবের মধ্যে গরু চোরাচালানিই বেশি। সীমান্তে গরুর খাটাল ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। যা অনুচিত। মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় জেলা প্রশাসন খাটালের অনুমোদন দেয়। কিন্তু বিজিবি’র সঙ্গে কোনো আলোচনা করে না। বর্তমানে আমাদের ৯২টি খাটাল রয়েছে। এসব খাটাল বরাদ্দের বিষয়ে বিজিবি’র অনুমোদন নেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ইদানীং স্বর্ণপাচার হচ্ছে ভারতে- এমন প্রশ্নে মহাপরিচালক বলেন, এগুলোর সঙ্গে গরু চোরাকারবারিদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। এছাড়া ফেনসিডিল ও সন্ত্রাসবাদী অর্থায়নের জন্যও হতে পারে বলে সন্দেহ করেন তিনি।

বিজিবি’তে নারী সদস্য নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্যান্য বাহিনীর চেয়ে বিজিবি’তে নারী সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে পিছিয়ে। তবে পর্যায়ক্রমে ১০০ করে নারী নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। সীমান্তে ও ট্রেনে নারীদের দেহ তল্লাশির ক্ষেত্রে নারী সদস্য প্রয়োজন। এছাড়া হিলি, আখাউড়া ও বেনাপোল সীমান্তে নারী চোরাকারবারী বেশি। বিজিবি’তে কর্মরত নারী সদস্যের সামাজিক নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে তাদের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। এসব নারী সদস্য বিজিবি’তে পুরুষের পাশাপাশি সমান প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সফলও হচ্ছে তারা।