সারাদেশে জনসচেতনতামূলক সভা চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নির্মূলে

সারাদেশে জনসচেতনতামূলক সভা চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নির্মূলে

নিউজ ডেস্ক : মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নির্মূলে রাজধানীসহ সারাদেশে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজ (বৃহস্পতিবার) রাজশাহী এবং ঢাকার মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এলাকায় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত সভায় অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিষয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে সচেতন হতে হবে উল্লেখ করে বলেন, একটি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও ক্ষতিকর, এটিও যেন ক্রেতার হাতে না পৌঁছায়।

তিনি সভায় নির্দেশনা প্রদান করেন, ফার্মেসির কোথাও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ মওজুদ/সংরক্ষণ করা যাবে না। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ আলাদা কন্টেইনারে “মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির জন্য নয়” লাল কালি দিয়ে লিখে সংরক্ষণ করতে হবে এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট হস্তান্তর করতে হবে। এ বিষয়ে রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে।

ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেলে ফার্মেসি সিলগালা/বন্ধ করাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একবার ফার্মেসির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ ফার্মেসি পরিদর্শন করবেন এবং কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেলে তা ফার্মেসি হতে সরিয়ে ফেলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ও ফার্মাসিস্টবিহীন ফার্মেসি ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে না। ফার্মেসিতে আইনতভাবে ফার্মাসিস্টের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। আনরেজিস্টার্ড, নকল, ভেজাল, মিসব্রান্ডেড, কাউন্টারফেইট ওষুধ, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল, সরকারি ওষুধ, রোগ নিরাময় করে এমন দাবিকৃত ফুড সাপ্লিমেন্ট ফার্মেসিতে মওজুদ ও বিক্রয় করা যাবে না। প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিকসহ অন্য কোনো ওষুধ বিক্রি করা যাবে না।

তিনি বলেন, রোগী এন্টিবায়োটিকের ফুল কোর্স যাতে সেবন করে সে বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করতে হবে এবং ফুল কোর্স এন্টিবায়োটিক সরবরাহ করতে হবে। ফার্মেসিতে এ বিষয়ে রেজিস্টার মেইনটেইন করতে হবে। ওষুধ বিক্রয়ের ক্যাশম্যামো সরবরাহ করতে হবে। তাপ সংবেদনশীল ওষুধ যথাযথ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা মনিটরিং করতে হবে। ডিপফ্রিজে ওষুধ সংরক্ষণ করা যাবে না।

আগামী ২৮ জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ও ২৯ জুন নাটোরে মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের নেতৃত্বে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে তিনি রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং নাটোরে মডেল ফার্মেসি ও মডেল মেডিসিনশপ উদ্বোধন করবেন।

ঢাকার মোহাম্মদপুরে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফথরের পরিচালক ড. খোন্দকার ছগীর আহমেদ এবং মিরপুরে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আসরাফ হোসেন।