সাভারের বংশী নদী দূষণ-দখলের প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট

নদী দূষণ-দখলের প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার সাভারের বংশী নদীর দূষণ ও দখলদারদের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া এই নদীর দখল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিচারক এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারক মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড (ওয়াপদা), রাজউক, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, সাভারের নির্বাহী অফিসার, সাভারের ভূমি কর্মকর্তা, ঢাকার জেলার এসপি ও সাভার থানার ওসিকে নদীদূষণ ও দখল-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সচিব ও জাতীয় নদী কমিশনসহ ১৪ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বাকির হোসেন। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার আবু সাদেক আব্দুল্লাহ।

এর আগে গত ২৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দখল-দূষণে শেষ বংশী নদী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গিলে খাচ্ছে রাজধানীর উপকণ্ঠের সাভারের বংশী নদী। এ নদীর বিরাট এলাকা প্রভাবশালীদের দখলে থাকলেও উদ্ধারে উদ্যোগ নেই। ৬৫ জন দখলদারের তালিকা প্রস্তুত করে নোটিস দেওয়া হলেও তারা এতে কর্ণপাত করছে না। পাশাপাশি বিভিন্ন কল-কারখানার বর্জ্য নদীতে পড়ায় দূষণ বাড়ছে। নদীর মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে দেদার। এসব কারণে ভালো নেই সাভার উপজেলার ৪০ থেকে ৪২ লাখ বাসিন্দা।’

পরে এই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার বাকির হোসেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দিলেন হাইকোর্ট।