সাইবার অপরাধ দমনে হচ্ছে ‘সাইবার পুলিশ স্টেশন’

সারাদেশে বিচারাধীন মামলা ৩৭ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক:  দেশে ইন্টারনেট অনেকটাই সহজলভ্য হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। ইন্টারনেট ব্যবহারে মানুষের যেমন সুবিধা হচ্ছে আবার অপরাধের প্রবণতাও বাড়ছে। অনেকেই সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়ে ভুক্তভোগী হচ্ছেন।

পুলিশ বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করে এমন ইউনিটও আছে। তবে এখন পর্যন্ত দেশে সংশ্লিষ্ট একক কোনো থানা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

তবে সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করবে এমন একটি থানা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এজন্য তদন্তকারী এ সংস্থাটি সরকারের কাছে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘সাইবার পুলিশ স্টেশন’ স্থাপনের জন্য প্রস্তাবনা দিয়েছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, দেশের প্রথম সাইবার পুলিশ স্টেশন করতে যাচ্ছে সিআইডি। দেশের যতো সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ আসবে সেগুলো নিয়ে সাইবার পুলিশ স্টেশন কাজ করবে। এজন্য একটি সাইবার পুলিশ স্টেশন হবে। এবিষয়ে সরকারের কাছে আমরা একটি সুপারিশ পাঠিয়েছি। এটি ঢাকাতেই অবস্থিত হবে। এক্ষেত্রে যেকোনো ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি থানায় মামলা করতে পারবেন। আর সাইবার পুলিশ স্টেশন একটু ভিন্নভাবে কাজ করবে।

তিনি বলেন, সাইবার পুলিশ স্টেশনে সাইবার এক্সপার্ট একটি টিম থাকবে। এছাড়াও ইনভেস্টিগেশন এবং অপারেশনের জন্য আলাদা টিম থাকবে। এছাড়াও প্রতিটি জেলায় সিআইডি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা সহযোগীতা করবে। ঢাকার বাইরে সিআইডির কার্যালয়ে গিয়েও ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করতে পারবেন। আবার আসামি গ্রেফতার বা অপারেশনের জন্য জেলার সিআইডি কর্মকর্তারাও সহযোগিতা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তারা ঢাকা থেকে আইটি সাপোর্ট পাবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিআইডিতে থাকা মামলাগুলোর ৮২ শতাংশ অভিযোগপত্র দিয়েছে, তবে সাজা হয়েছে মাত্র ২৪ শতাংশ।

তিনি বলেন, সিআইডিতে সর্বমোট তিন হাজার ১০৮ জনবল আছে। এদেরকে কাজের সুবিধার্থে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে মামলার সংখ্যা বাড়ছে সেই সঙ্গে বাড়ছে গুরুত্ব। এজন্য আমরা একটি পরিকল্পনা করেছি। দেশের প্রতিটি জেলায় সিআইডির পক্ষ থেকে একজন পুলিশ সুপার (এসপি) এবং একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত এসপি) থাকবে। যেসব জেলায় গুরুত্বপূর্ণ মামলা রয়েছে সেখানে এসপি পর্যায়ের কর্মকর্তা থাকবেন এবং যেখানে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ মামলার ঘটনা রয়েছে সেখানে অতিরিক্ত এসপি দায়িত্বে থাকবেন। এক্ষেত্রে তাদের কাজের পরিধি এবং কিছু ক্ষমতাও বাড়ানো হচ্ছে। এতে করে যেকোনো মামলার তদন্তে ভালো ফল আসবে বলে আমি আশা করছি। ইতোমধ্যে এর ৮০ শতাংশ সেটআপ হয়ে গেছে।