সহিংসতায় দুই দিনে নিহত ৮

নিউজ নাইন২৪ ডেস্ক: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চতুর্থ দফা ভোটগ্রহণকে ঘিরে সহিংসতায় দুদিনে প্রাণ হারালেন আটজন। ভোটের দিন শনিবার ছয়জন নিহত হওয়ার পর গতকাল মারা গেছেন আরো দুজন। তারা হলেন গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার আওয়ামী লীগ কর্মী মোস্তাক আহমেদ ও ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আসমা বেগম।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের চতুর্থ দফা ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধুধারহাট ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মোস্তাক আহমেদ নামে আওয়ামী লীগের ওই কর্মী গুরুতর আহত হন। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিত্সাধীন অবস্থায় গতকাল ভোরের দিকে মারা যান তিনি।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি জানান, জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের চড়ইগাতি মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট চলাকালে শনিবার দুই মেম্বার প্রার্থী সোলায়মান আলী ও গুল মোহাম্মদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর ওইদিন সন্ধ্যায় সোলায়মান আলীর কর্মী-সমর্থকরা প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ছয়জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আসমা বেগম মারা যান।

গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসফিকুজ্জামান আখতার। এ সময় নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট চলাকালে গত শনিবারই নিহত হন ছয়জন। এর মধ্যে রাজশাহীর বাগমারায় প্রাণ হারান দুজন। একজন করে নিহত হন কুমিল্লা, ঠাকুরগাঁও, নরসিংদী ও গাইবান্ধায়। এছাড়া ফেনীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন ১০ জন।

শনিবার রাজশাহীর বাগমারায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হন দুজন। তারা হলেন সিদ্দিকুর রহমান ও রায়হান আলী। এ ঘটনায় আহত হন আরো অন্তত ৫০ জন। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের উত্তর চান্দলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ হারান তাপস চন্দ্র দাস নামে এক যুবক।

এছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নে সহিংসতায় নিহত হন মাহবুব আলম নামে একজন। নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে হোসেন আলী নামে একজন প্রাণ হারান।

এছাড়াও গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নওশার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে নিহত হন লেবু মণ্ডল নামে একজন। তিনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের নৈশ প্রহরী ছিলেন। তার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার জামদানি গ্রামে।