সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য: ভারত থেকে চোরাপথে গরু-মহিষ আসছেই

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাণীসম্পদ খাতে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। যার কারনে গত কয়েক বছর ধরে দেশীয় পশু দিয়েই পবিত্র কুরবানীর চাহিদা পুরন হচ্ছে। যার কারনে সরকারের তরফ থেকে ভারত থেকে পশু আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট এদেশীয় কিছু দালালদের সহযোগীতায় চোরাপথে সীমান্ত দিয়ে এদেশে রোগা ও নিম্নমানের গরু ও মহিষ পাঠাচ্ছে। এর মধ্যে, মৌলভীবাজারের বড়লেখা-জুড়ি সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে প্রতিনিয়ত আসছে ভারতীয় রোগাটে গরু-মহিষ। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে মহিষগুলো এনে দেশের অন্যান্য জেলার ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।

এছাড়া মোটরসাইকেল, মদ, ইয়াবা, হরলিকস, সিগারেটসহ বিভিন্ন পণ্যের চোরাচালান তো রয়েছেই। মাঝে মধ্যে কিছু ধরা পড়ে। আবার নানা কায়দায় বেশিরভাগই বাজারজাত হয়।

গত ১ জুন আসাম রাজ্যের পাথারকান্দি থানার পুতনিছড়া চা-বাগান এলাকায় গরুচোর সন্দেহে কয়েকজনকে পিটুনি দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে রণজিৎ নামের একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

চোরাচালান নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে প্রশাসনের স্থানীয় সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানোও হয়েছিল। কিন্তু তারপরও থেমে নেই চোরাচালান। এতে করে বাংলাদেশীয় খামারীরা বলছেন, এমনিতেই আমরা লকডাউনে বিপর্যস্থ। এমন পরিস্থিতিতে যদি চোরাপথে গরু আসে তাহলে তো আমরা মাঠে মারা যাবো।