সমুদ্রভিত্তিক শক্তিশালী অর্থনীতি গঠনে নৌবাহিনীর বিকল্প নেই : প্রধানমন্ত্রী

সমুদ্রভিত্তিক শক্তিশালী অর্থনীতি গঠনে নৌবাহিনীর বিকল্প নেই : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্র অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সমুদ্রভিত্তিক শক্তিশালী অর্থনীতি গঠনের জন্য শক্তিশালী নৌবাহিনীর কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৩০ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ২টি মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট (এমপিএ) সংযোজন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন দুই এমপিএ সংযোজনের মাধ্যমে নেভাল অ্যাভিয়েশনের সক্ষমতা বহুলাংশে বাড়বে এবং এর মাধ্যমে স্বল্প সময়ে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশের সুবিশাল সমুদ্রসীমা টহল দেওয়া আরও সহজ হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ফোর্সেস গোল-২০৩০-এর আলোকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি যুগোপযোগী ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নৌবহরে যুদ্ধজাহাজ সংযোজন, জাহাজগুলোর অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়ানো এবং অপারেশনাল অ্যাভিয়েশন উইং গঠনসহ বিভিন্ন বাস্তবমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে। জাতির পিতার প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট এবং সাবমেরিনসহ আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজিত হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এমপিএ ও হেলিকপ্টার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আধুনিক সকল সুবিধা সম্বলিত বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এই সকল টহল বিমান সংযোজন দেশের সমুদ্র সম্পদ রক্ষা ও নিজ জলসীমায় যে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নৌ সদর দফতরের পিএসওরা, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডাররা, মুক্তিযোদ্ধা নৌ কমান্ডোসহ বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।