সব হত্যার তদন্তেই অগ্রগতি হয়েছে, খুনিদের অনেকে দেশ ছেড়েছে: পুলিশ কমিশনার

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ঢাকা: ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, “রাজধানীর কলাবাগানে বাসায় ঢুকে জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব রাব্বী তন্ময়কে হত্যার ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও আলামত পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না।”

বুধবার সকালে একটি বেসরকারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে তিনটি গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, “ব্লগার, প্রকাশক হত্যায় সারা দেশে এ পর্যন্ত ২১টি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে ১৬টা মামলার ‘ডিটেকশন’ হয়েছে।

“ঢাকা মহানগরে মোট ১১টা মামলা হয়েছে। ওই ঘটনাগুলো জঙ্গি গ্রুপ করেছে বলে ধারণা। এই মামলাগুলোর পাঁচটির চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলার রায় হয়েছে। সেখানে আট জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

“অন্যান্য মামলাগুলোর চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, কতগুলো মামলার এখনো তদন্ত চলছে। তার একটি হলো অভিজিৎ হত্যা মামলা, একটি দীপন হত্যা মামলা যেটি শাহবাগে হয়েছিল; আরেকটি শুদ্ধস্বরে হত্যাচেষ্টা মামলা যেটি মোহাম্মদপুরে হয়েছিল; আরেকটি হলো নিলয় হত্যা মামলা- এগুলো তদন্তাধীন রয়েছে।”

সবগুলো হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অগ্রগতির হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “অভিজিৎ ও দীপন হত্যায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আছে। কারা খুন করেছে সেই নাম ঠিকানাও পেয়েছি। কেউ গ্রেপ্তার হয়েছে, কিন্তু অনেককে গ্রেপ্তার করতে পারিনি। এরইমধ্যে অনেকে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছে। এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।”

এসব হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিলম্বের জন্য সমালোচনার জবাবও দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ প্রধান।