সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে দেশের মাছ উৎপাদন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৯ সালে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির হারে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙেছে বাংলাদেশ। এতদিন স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও অতীতের রেকর্ড ভেঙে এখন দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দেশ। চাষের মাছে বরাবরের মতো পঞ্চম স্থানে থাকলেও বেড়েছে পতিত পুকুরে মাছের চাষ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাছের অভয়াশ্রম তৈরি, নিরাশয়াদিতে মাছ অবমুক্তকরণে এ সফলতা এসেছে। এছাড়া প্রদর্শনী আর প্রশিক্ষণ, ইনসেনটিভ দেওয়ার ফলে বেকারত্বের সংখ্যা যেমন কমে এসেছে, তেমনি পতিত পুকুর সংখ্যাও এখন শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বৈশ্বিক প্রতিবেদন ‘দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার-২০২০’ এর মতে, ২০১৯ সালে বিশ্বে প্রায় ১৮ কোটি টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। এসব মাছের অর্ধেকেরও বেশি অভ্যন্তরীণ উৎসের বা স্বাদু পানির মাছ। আর বাকি মাছ সামুদ্রিক।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বাদু পানির মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির হারে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। আর প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে চীন ও ভারত। চাষের মাছে বাংলাদেশের অবস্থানটি পঞ্চম।

এর আগে ২০১৭ সালে স্বাদু পানির মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশ পঞ্চম থেকে তৃতীয় স্থানে উঠেছিল। আর সামগ্রিকভাবে স্বাদু পানির মাছ উৎপাদন বাড়ার হারেও বাংলাদেশ এখন দ্বিতীয় অবস্থানে। বর্তমানে মাছ বাড়ার হার ৯ শতাংশ। আর ১২ শতাংশ নিয়ে প্রথম অবস্থান দখল ইন্দোনেশিয়ার।