সবরি কলা চাষে বছরে লাখ টাকা আয় শহীদের

সবরি কলা চাষে বছরে লাখ টাকা আয় শহীদের

হবিগঞ্জ সংবাদাদাতা: আব্দুস শহীদ। পেশায় কৃষক। তিনি হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার আলাপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে। বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খোয়াই নদীর চরে প্রায় ১১০ শতক জমিতে আগাছা পরিষ্কার করে সবরি কলা চাষ করেছেন। এখন তিনি একজন সফল কলা চাষি।

সরেজমিনে গেলে কৃষক আব্দুস শহীদ বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে এ জাতের কলা চাষে সফলতা পেয়েছি। প্রতি হালি কলা ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাগানে এসে কলা নিয়ে যাচ্ছেন পাইকাররা। বিষমুক্ত থাকায় স্থানীয়দের কাছে এ কলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। প্রতি বছর কমপক্ষে ১ লাখ টাকার কলা বিক্রি করা যাচ্ছে। এরমধ্যে চাষে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়।

এলাকার কৃষক জাকির মিয়া বলেন, আব্দুস শহীদ আমার ওস্তাদ। তিনি আমাকে কৃষি কাজ শিখিয়ে বিরাট উপকার করেছেন। বর্তমানে আমি সবজি চাষের পাশাপাশি গরু পালন করছি। এতে একাধিক লাভ। গরুর গোবরে বিষমুক্ত ফসল চাষ হচ্ছে। গরু বিক্রিতে আসছে অর্থ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ তমিজ উদ্দিন খান বলেন, সবচেয়ে সহজলভ্য হলো কলা। রাস্তার আশেপাশের চায়ের দোকানে তাকালেই দেখা মেলে কলার। রাস্তায় হাঁটছেন, কলা দেখেই খেয়ে নিচ্ছেন দুটি। অফিস থেকে ফেরার পথে এক কাঁদি কলা হাতে ঢুকছেন বাসায়। এ দৃশ্য সচরাচর সর্বত্রই দেখা যায়। সকালের নাস্তার টেবিলে অনেকেই রাখছেন কলা। বাচ্চাদেরও কলা খেতে তাগিদ দিচ্ছেন। তেমন ঝুঁকি না থাকায় হবিগঞ্জের স্থানে স্থানে কলা চাষ হচ্ছে।

কৃষি বিভাগের উৎসাহ পেয়ে কৃষকরা কলা চাষে আগ্রহী হয়েছেন। এ কারণে বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে কলা। সারা বছরই ফলে। পুষ্টিগুণে ভরপুর কলা চাষ করে কৃষক আব্দুস শহীদ সফল। এ কারণে ভালো লাগছে। হবিগঞ্জে অনেক সময় বড় সবরি কলার হালি ১২০ টাকাও বিক্রি হয়, বলেন তিনি।