সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্ পত্তি কমিশন (সংশোধন) বিল-২০১৬ পাস

ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিদ্যমান অচলাবস্থা দূর করার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় বিধান করে আজ সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) বিল-২০১৬ পাস করা হয়েছে। ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। বিলে বিদ্যমান আইনের প্রস্তাবনায় তৃতীয় অনুচ্ছেদে উল্লেখিত পার্বত্য জেলা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি এবং পার্বত্য জনসংহতি সমিতি শব্দগুলোর পরিবর্তে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা-৩ এর উপধারা (২) এর দফা (ঘ) তে উল্লেখিত সংশ্লিষ্ট সার্কেল চিফ, পদাধিকার বলে শব্দগুলোর পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট সার্কেল চিফ বা তার মনোনীত একজন প্রতিনিধি শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা-৬ এর দফা (ক) এর পরিবর্তে পুনর্বাসিত শরণার্থীদের ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ এবং অবৈধ বন্দোবস্ত ও বেদখল হওয়া ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা শীর্ষক নতুন (ক) ধারার শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া দফা (খ) তে উল্লেখিত আইন ও রীতি শব্দগুলোর পরিবর্তে আইন, রীতি ও পদ্ধতি শব্দগুলো এবং দফা (গ) এর পরিবর্তে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি বহির্ভূতভাবে জলেভাসা ভূমিসহ (ফ্রিঞ্জ ল্যান্ড) কোন ভূমি বন্দোবস্ত প্রদান বা বেদখল করা হয়ে থাকলে তা বাতিলকরণ এবং বন্দোবস্তজনিত বা বেদখলজনিত কারণে কোনো বৈধ মালিক ভূমি থেকে বেদখল হয়ে থাকলে তা দখল পুনর্বহাল শীর্ষক নতুন (গ) দফা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বিলে বলা হয়, তবে শর্ত থাকে যে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি অনুযায়ী অধিককৃত ভূমি ও বসতবাড়িসহ জলে ভাসা ভূমি, টিলা ও পাহাড় ব্যতিত কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা ও বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ এলাকার ক্ষেত্রে এ উপধারা প্রযোজ্য হবে না। বিলে কমিশনের সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপজাতীয়দের অগ্রাধিকার প্রদান ক্রমে স্থায়ী অধিবাসীদেরকে নিয়োগ করার বিধান করা হয়েছে। বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ৭, ৯ ও ১৮ সংশোধন করা হয়েছে। বিলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০১৬ রহিত করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, নুরুল ইসলাম মিলন, বেগম মাহজাবীন মোরশেদ, স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী ও আবদুল মতিন বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।