সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন পেতে শেষ মূহুর্তে চলছে দৌঁড়ঝাপ

নিউজ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়েছে। এর পর থেকেই চলছে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি। বিগত দিনের ইতিহাসে এবার সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়ায় দলটি সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৩জন প্রার্থীকে মনোনীত করতে পারবে। অথচ ৪৩জনের বিপরীতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১হাজার ৩২৫জন প্রার্থী। তাই শেষ মূহুর্তে পেতে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের চলছে দৌঁড়ঝাপ। সঙ্গত কারণেই মনোনয়ন প্রত্যাশিরা তাদের সর্বোচ্চে শক্তির কাজে লাগাতে ছুটছেন শীর্ষ নেতাদের দ্বারে দ্বারে।

সংরক্ষিত নারী আসনে একাধিক মনোনয়ন প্রার্থী মনে করেন, সারা জীবন মাঠে রাজনীতি করেছি। তাই দল থেকে মনোনয়ন চাই। আমরা যে মনোনয়নপত্র তুলেছি তা দলেল সিনিয়র নেতারা জানেন। তারা মনে করলে আমাদের দিকে শুভদৃষ্টি দিতে পারেন।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই ১২ ফেব্রুয়ারি ও প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি। আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৪ মার্চ।

এদিকে, এবারই প্রথম তৃতীয় লিঙ্গ কাউকে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। সংবিধানে না থাকলেও শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে সংসদে সংরক্ষিত আসনে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব চান তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীরা। নিজেদেরকে রুপান্তরিত নারী দাবি করে সংরক্ষিত মহিলা আসনের জন্য ইতিমধ্যে ৫জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

তৃতীয় লিঙ্গের মনোনয়ন প্রত্যাশী ময়ুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীই মনোনয়ন ফরম কেনার জন্য আমাদের উৎসাহিত করেছেন। আমরা হিজড়া না আমরা রুপান্তরিত নারী হিসেবে সংসদে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। অপর এক প্রার্থী ববি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আমাদের সংসদে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা আশায় দিন গুণছি। নিজেদের দাবি-দাওয়া আদায়ে সংসদে আমাদের প্রতিনিধিত্ব অত্যন্ত জরুরি।

ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগেরবার যারা নারী সংরক্ষিত আসনে এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, তারা এবার মনোনয়ন পাবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বরাবরই বলে আসছেন দলের মধ্যে থাকা ত্যাগিকর্মী ও রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে যাদের ভূমিকা ছিলো, তাদেরকেই সংসদীয় র্বোড মনোনয়ন দেবে। এমনকি যারা নির্বাচনে ভালো ভ‚মিকা রেখেছেন তাদের মূল্যায়ন করা হবে।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি আসনে জয় পেয়েছে। ফলে ৫০টি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে দলটি গড়ে ৪৩টি পাচ্ছে। এতে ৬জন সংসদ সদস্যদের বিপরীতে একজন নারী মনোনীত হবেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি ৪টি, বিএনপি ১টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ১টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোটভুক্ত হয়ে ১টি সংরক্ষিত আসন পাবেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, যাচাই বাচাই করে দেবে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড। এখানে কারো হাত নেই। দল ও দেশের জন্য যাকে ভালো মনে করা হবে, তাকেই সমর্থন করবো।