শীত কমতেই বেড়েছে মশার উৎপাত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দিন দিন দুর্ভোগের নগরীতে পরিণত হচ্ছে রাজধানী ঢাকা। কোনো মৌসুমেই নগরবাসী স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারছে না। বর্ষাকালে ভুগতে হয় পানিবদ্ধতায় আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলার দুর্ভোগ। এখন পোহাতে হচ্ছে মশার উৎপাত। ঘরে-বাইরে, বাসা কিংবা অফিস সব জায়গায় মশা। শীত কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীতে বেড়েছে মশার উৎপাত। মশক নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে গতবারের মতো এবারও ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজধানীবাসীর অভিযোগ, মশক নিধন কর্মীদের মাঠে তেমন দেখা যায় না। ডেঙ্গু যখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল সে সময় মশক নিধন কার্যক্রম ব্যাপকভাবে পরিচালিত হলেও পরে তা ঝিমিয়ে পড়েছে। অথচ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঘোষণা দিয়েছিল ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বছরজুড়ে কাজ করবে তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বিশেষ মৌসুম বা নির্দিষ্ট সময়ে ডেঙ্গুবিরোধী তৎপরতা চালালে হবে না। বরং বছরব্যাপী এ কার্যক্রম জোরদার রাখতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু বিশেষ মৌসুম বা নির্দিষ্ট সময়ে মশকবিরোধী তৎপরতা দেখালে হবে না। বরং বছরব্যাপী এ কার্যক্রম জোরদার রাখতে হবে। অনেক দিন ধরে কোনো বৃষ্টিপাত না থাকায় ড্রেন ও ডোবায় মশা জন্মানোর স্থানগুলোতে পানির অর্গানিক ম্যাটারিয়াল বেড়েছে। মশা জন্মানোর সময় জরুরি ভিত্তিতে লার্ভিসাইড ছিটানো না হলে মশার উপদ্রব আরও বাড়বে।

এদিকে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কিউলেক্স-এডিস মশার প্রকোপ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে দুই সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন কর্মসূচি শুরু করেছে ডিএনসিসি। প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

জামাল মোস্তফা বলেন, এ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম ১৪ দিন চলবে। ক্র্যাশ প্রোগ্রামে নিয়মিত ফগার মেশিনের পাশাপাশি ডিএনসিসির আনা নতুন তিন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে ২০টি করে হুইল ব্যারো, মিষ্ট ব্লোয়ার পাওয়ার স্প্রে এবং দুটি ভেহিকেল মাউন্টেইন্ড ফগার মেশিন। এ কর্মসূচি চলাকালীন প্রত্যেক কাউন্সিলর ওয়ার্ড পর্যায়ে স্থায়ী মশককর্মী ও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগকৃত দশজন করে মশক কর্মীর নিয়মিত হাজিরা ওয়ার্ড সচিব ও মশক সুপারভাইজারদের মাধ্যমে নিশ্চিত করে সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তার মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।