শীতের প্রকোপ কম থাকায় আগেভাগেই মুকুলে ছেয়ে গেছে

যে কারণে শতভাগ অঙ্কুরিত হয় না আমের মুকুল

নিউজ ডেস্ক : শীতের প্রকোপ এবার কিছুটা কম থাকায় বেশ আগেভাগেই মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চলের আম বাগানগুলো। থোকা থোকা হলুদ রংয়ের মুকুলের ভারে ঝুলে পড়েছে আম গাছের ডালপালা। এবার শীত কম তাই বেশ আগেই এসেছে এসব গাছে মুকুল। বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা ভাল ফলনের স্বপ্ন দেখছেন। গাছে মুকুল ও গুটি আম দেখে ইতমধ্যে ব্যাপারিরা বাগানের দরদাম হাঁকছেন। আর বাগান মালিকরা আমের ভাল ফলন পেতে ছত্রাক নাশক প্রয়োগ সহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে। সময় টিভি

বাগান মালিকরা বলেন, অন্য বছরের থেকে এবার প্রচুর মুকুল হয়েছে। আমের চাহিদা থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে ব্যাপারিরা আম নিতে আসেন। জেলার ১৪ হাজার ৫শ হেক্টর জমির বাগানে প্রায় সোয়া ২ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে কৃষি বিভাগ। ফল গবেষণার দেয়া তথ্য অনুযায়ী নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকা সাপাহার পোরশা, নিয়ামতপুরে ল্যাংড়া, ফজলি, গোপালভোগ, খিরসাপাত, আ¤্রপালি, ও মোহনভোগ জাতের সুস্বাদু আমের উৎপাদন বেশি হয়। আমের ভাল ফলন নিশ্চিতে বাগান মালিকদের সহযোগিতা করছেন মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা ।

কৃষি কর্মকর্তা উপ-সহকারী সেলিম রেজা বলেন, আমরা চাচ্ছি আমের পুরাতন জাতগুলো না করে নতুন জাতগুলো করবো। কৃষিবিভাগ সব রকমের সহযোগিতা দিচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তা উপ-সহকারী শামীম মাহমুদ বলেন, মুকুল যে পরিমাণে এসেছে সামনে দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই হয়তো পুরোপুরি চলে আসবে। ফলন এবার খুব বেশি আশা করছি।

বরেন্দ্রর বাগানগুলোতে এবার আগাম মুকুল আসায় ভাল ফলনের আশা কৃষি বিভাগের। কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজ আলম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর শীত কম থাকায় এই মুকুলের সমারোহ। বর্তমানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকরা বালাইনাশক প্রয়োগ করছে সুষ্ঠু পরিচর্যা করলে ও বাজার পেলে কৃষকরা আম চাষে উৎসাহিত হবেন।