শিশু সম্ভ্রমহরণের ঘটনা ৫৯% বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দেশে শিশু হত্যা, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, গৃহকর্মী শিশুর ওপর অত্যাচার এবং নবজাতক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার বেড়েছে।

বিশেষ করে ধর্ষণের ঘটনা বেশি বেড়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৯০২ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। যা ২০১৮ সালের ১২ মাসে ছিল ৫৭১ জন শিশু। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে দেশে শিশু ধর্ষণ বেড়েছে ৫৯ শতাংশ। যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংলাপে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংলাপে বক্তারা জানায়, শিশু অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি অনেক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে স্বাধীন দেশে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা গেলে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

সংলাপে উত্থাপিত মূল প্রবন্ধে বলা হয়, সংলাপে উত্থাপিত সুপারিশমালায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ‘কোনো শিশু পথে থাকবে না’ বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সকলকে একযোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সব মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে শিশুশ্রম বন্ধ ও শিক্ষার হার বাড়াতে শিক্ষা বাধ্যতামূলক আইন প্রণয়ন করতে হবে। শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থাগুলোর মধ্যে তথ্য সরবরাহ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে।

সংলাপে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করেছিলেন। বর্তমান সরকারও আন্তরিক। কিন্তু দেশে অনেক আইন থাকলেও সেই আইনের যথাযথ প্রয়োগ নেই। তাই আগে আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে মনিটরিং জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়।