শিল্প-বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের নামজারি ৭ দিনে

শিল্প-বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের নামজারি ৭ দিনে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার সব গুরুত্বপূর্ণ শিল্প প্রতিষ্ঠান, লিমিটেড কোম্পানি, রফতানিমুখী শিল্প-প্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানি থেকে কোম্পানির নামে নামজারি সাত দিনে করা হবে।সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে উৎসাহ প্রদানের উদ্দেশ্যে গত ৩০ ডিসেম্বর একটি অনুষ্ঠানে এ পরিপত্র জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ব্যবসা-বাডুজ্য, শিল্পোন্নয়ন এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্ব ব্যাংকের ‘সহজে ব্যবসা করার সুযোগ (ইজ অব ডুইং বিজনেস)’ এর সূচকে বাংলাদেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে গেলেও তা কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছেনি। বাংলাদেশের স্থানীয় বিনিয়োগ এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি, তথা দ্রুত অর্থনৈতিক বিকাশের স্বার্থে ‘সহজে ব্যবসা করার সুযোগ’ এর সূচকে দেশকে আরও অনেক ধাপ এগিয়ে যেতে হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে, ভূমি মন্ত্রণালয় সব গুরুত্বপূর্ণ শিল্প প্রতিষ্ঠান, লিমিটেড কোম্পানি, রফতানিমুখী শিল্প-প্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানি থেকে কোম্পানির ক্ষেত্রে নামজারির আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সাত দিনে নাম জারির পদ্ধতি উল্লেখ করে পরিপত্রে বলা হয়েছে, বিদ্যমান সব গুরুত্বপূর্ণ শিল্প প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি (কোম্পানি টু কোম্পানি নামজারি), রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামজারির বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। এক্ষেত্রে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তাৎক্ষডুকভাবে নামজারির আবেদনটি সংশ্লিষ্ট ভূমি সহকারী কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হবে। নামজারির আবেদন পাওয়ার দুই কার্যদিবসের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে কানুনগো/সার্ভেয়ার/ইউনিয়ন ভূমি সহকারী/উপসহকারী কর্মকর্তা নামজারির প্রতিবেদন দাখিল করবেন। সহকারী কমিশনার সরেজমিনে তদন্ত কালে স্বয়ং উপস্থিত থাকবেন।

তৃতীয় কার্যদিবসে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সংশ্লিষ্টদের শুনানির জন্য নোটিশ দেবেন। পরবর্তী চার কার্যদিবসের মধ্যে যথাযথ শুনানি শেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামলাটি নিষ্পত্তি করবেন।

বিশেষ এ নামজারির জন্য আলাদা একটি রেজিস্টার খুলতে হবে জানিয়ে পরিপত্রে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ বিষয়ে ফোকাল পয়েন্ট নিয়োজিত থাকবেন এবং তিনি সেবাদানের বিষয়টি নিবিড়ভাবে তত্ত্বাবধান করবেন। প্রতিমাসে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ভূমি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং মুখ্য সমন্বয়ককে (এসডিজি বিষয়ক) প্রতিবেদন দেবেন।