শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাপক পরিকল্পনা ও কর্মসূচি : নাহিদ


ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা এবং কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ- শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেটি উপলদ্ধি করেই নানা পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নিয়ে এগুচ্ছি।’ আজ শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষা দিবসের তাৎপর্য উপলব্ধি করে, শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে সরকারের কার্যক্রম প্রতিদিন প্রসারিত হচ্ছে উল্লেখ করে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আমরা শিক্ষার মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি আমাদের জাতীয় লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে আমাদের নতুন প্রজন্মকে প্রস্তুত করে তোলা।

নতুন প্রজন্মকে আধুনিক উন্নত বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তোলাই শিক্ষার মুল লক্ষ্য উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রায় সকল শিশুকে স্কুলে নিয়ে আসা এবং মাধ্যমিক পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীর সমতা অর্জন, নবম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে ১৮৯ কোটি ২১ লাখ ১৮ হাজার ৮৯৫টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য ব্রেইল পাঠ্যপুস্তক, যুগোপযোগী পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হয়েছে।

এছাড়াও ১০ লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার শিক্ষা সকল স্তরে বাধ্যতামূলকভাবে চালু, প্রায় ২৪ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালু, সৃজনশীল পদ্ধতি প্রবর্তন, ২০ হাজার কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন, উপজেলায় আইসিটি রিসোর্স সেন্টার স্থাপন, মেধাবৃত্তি ছাড়াও বছরে ১ কোটি ২৮ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান, ৬০ হাজার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে প্রতিবন্ধী বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যেÑ শিক্ষকের গুণগত মান বৃদ্ধি ও পাঠদান পদ্ধতি উন্নত করার জন্য নিয়মিত উন্নত মানের শিক্ষক প্রশিক্ষণ চলছে। পিএসসি’র অনুরূপ জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আরো সহজ আকর্ষণীয় চমৎকার পাঠ্যপুস্তক তৈরি, বইয়ের চাপ কমানো, পরীক্ষা পদ্ধতির বড় রকমের সংস্কার, প্রবীণ অভিজ্ঞ শিক্ষক ও শিক্ষাবিদদের নিয়ে উপদেষ্টা কমিটি করে বিভিন্ন সাব-কমিটির মাধ্যমে এরকম সকল কাজের পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ ও আত্মসমালোচনা করে ভুল-ত্রুটি শোধরানো এবং উন্নত মানের কাজ, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, গবেষণা, নতুন জ্ঞান সৃষ্টি প্রভৃতি বহুমূখী কার্যক্রম প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

নাহিদ বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষায় ইসলামী শিক্ষার উন্নয়ন এবং আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় সাধন করে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে- যা ইতোপূর্বে অভাবনীয় ছিল। শত বছরেও মাদ্রসা শিক্ষায় এত ব্যাপক উন্নয়ন হয়নি বলে তিনি বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।