শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পরিস্থিতি হয়নি -শিক্ষা উপমন্ত্রী

এমপিও হয়েও যে কারণে বেতন পাবেন না শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, স্থানীয় পরিসরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কোনও লক্ষণ নেই। এছাড়া স্কুল বন্ধের পরিস্থিতিও তৈরি হয়নি, হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে যারা সংক্রমিত হয়ে আসছে- তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করেছে সরকার। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও জানানো হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হতে সবার প্রতি আহ্বান জানায় মন্ত্রণালয়।

এদিকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীও বলেছেন, বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী এখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি হয়নি। গতকাল তিনি এ কথা জানান তিনি।

উপমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের (কোভিড ১৯) সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়ে সরকার সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই ঝুঁকি বিশ্লেষণের একটি অংশ। প্রতিনিয়ত অবস্থা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। সর্বশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই এগুচ্ছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।

তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি এখনও হয়নি বলেও জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। দেশের শ্রমঘন শিল্প তৈরি পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ করা হবে কি না, রোববার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা তা জানতে চান বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে।

জবাবে তিনি বলেন, এখনও সে রকম কোনো সমস্যা হয়নি যে গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে এ ধরনের..
“প্রতিটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে একটা অ্যাওয়ারনেস বিল্ডআপ করা হয়েছে। অধিকাংশ ফ্যাক্টরিতে মাস্ক ও হাত ধোয়ার জন্য সাবান দেওয়া হয়েছে এবং সচেতন করা হয়েছে।”

“কোনো ফ্যাক্টরিতে এমন অবস্থা হয়নি, যাতে করে বন্ধ করে দিতে হবে। আমরা তেমনটা চিন্তা করিনি। স্কুলগুলোও বন্ধের চিন্তা করিনি।”

করোনাভাইরাসের প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে শ্রমঘন শিল্পখাতের মালিকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

বিশেষত তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত ও প্লাষ্টিক পণ্য শ্রমঘন শিল্পখাতের সব কর্মীকে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষার পর কারখানায় ঢোকাতে বলা হয়েছে। কারও মধ্যে উপসর্গ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে ওই কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটি দিতে বলা হয়েছে।