শস্য শুকানোর মেশিন সাড়া ফেলেছে

নিউজ ডেস্ক: হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের উদ্ভাবিত শস্য শুকানোর মেশিন (টু স্টেজ গ্রেইন ড্রায়ার) দিনাজপুরে কৃষকদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই মেশিনের মাধ্যমে বৈরী আবহাওয়াতেও অল্প সময়ে সীমিত খরচে ধান, গম, ভুট্টা শুকানো যায়। দেশের প্রতিটি উপজেলায় সরকারিভাবে শস্য শুকাতে এ ধরনের মেশিন স্থাপন করা হয়, তাহলে কৃষকরা যেমন উপকৃত হবেন অন্যদিকে ফসল নষ্টের সম্ভাবনা হ্রাস পাবে। এই মেশিন সরকারের ধান, চাল সংগ্রহে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মত প্রকাশ করেন উদ্ভাবনের নেতৃত্বে থাকা গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. সাজ্জাত হোসেন সরকার।

২০২০ সালে শস্য সংগ্রহে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত করা হয় মেশিনটিকে। চাতালে শুকানোর খরচেই মাত্র কয়েক ঘণ্টায় শুকাতে পারছেন ব্যবসায়ীয়া। একই খরচে আর্দ্রতা ১২-১৪ শতাংশে নিয়ে আসা এবং বৈরী আবহাওয়াতেও শুকানোর সুবিধা থাকায় প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে ভুট্টা ধান শুকানোর জন্য ছুটে আসছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। ২০১৮ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ড্রায়ারটি উদ্ভাবনের গবেষণা কাজ শুরু করেন দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক ড. সাজ্জাত হোসেন সরকারের নেতৃত্বে একদল গবেষক। অধ্যাপক সাজ্জাত হোসেন সরকার জানান, আবহাওয়া এবং কৃষকদের কথা বিবেচনা করে গবেষণার মাধ্যমে প্রথম এ ধরনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়। বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে শস্য শুকানোর কার্যক্রম চলছে এবং ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।