শর্ত সাপেক্ষে গ্রেড-১ পাচ্ছেন অধ্যাপকরা, ‘খুশি’ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, শর্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মোট ২৫ শতাংশ গ্রেড-১ এ পদোন্নতি পাবেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর এ বিষয়টি নিয়ে একটা সমাধানে পৌঁছা গেছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন পর একটা সমাধানে পৌঁছা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা গ্রেড-২ থেকে গ্রেড-১ এ এবং গ্রেড-৩ থেকে থেকে গ্রেড-২ এ পদোন্নতি পাবেন। তবে মোট অধ্যাপকদের ২৫ শতাংশ গ্রেড-১ এ পদোন্নতি পাবেন। এ জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। সেগুলো হলো, প্রথম গ্রেডে উন্নীত হতে হলে দ্বিতীয় গ্রেডে অন্তত দুই বছর চাকরি করতে হবে; সর্বমোট চাকরি বয়স হতে হবে ২০ বছর।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন একটি কার্যপত্র তৈরি করা হবে। তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। পরে আরও কিছু কাজ রয়েছে, তারপর এটা কার্যকর হবে।

ওই বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পক্ষে সংগঠনের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ কামাল বৈঠকে অংশ নেন।

ওই বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পক্ষে সংগঠনের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ কামাল বৈঠকে অংশ নেন।

এদিকে, ২৫ শতাংশ অধ্যাপককে প্রথম গ্রেডে যাওয়ার সুযোগ রেখে অষ্টম বেতন কাঠামোর বৈষম্য নিরসনে গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্তের পর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমরা খুবই খুশি। যে দাবি আদায়ে সংগ্রাম করেছিলাম, তা আদায় হয়েছে।