শরীয়তপুরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন

শরীয়তপুরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শরীয়তপুর জেলায় এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত মৌসুমে পেঁয়াজের বাজারমূল্য ভালো পাওয়ায় এবার কৃষক বেশি পরিমাণ জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছে। এবার জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৩ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩৮ হাজার ৫০০ টন ধরা হলেও ফলন ভালো হওয়ায় ৪৬ হাজার ১২৫ টন পেঁয়াজ আবাদ হবে বলে আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আমীর হামজা জানান, চলতি মৌসুমে জেলার ৬টি উপজেলায় ৩ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে শুধু জাজিরা উপজেলাতেই হয়েছে ২ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে। ছোট-বড় মিলিয়ে জেলায় অন্তত ১৬ হাজার কৃষক এ বছর পেয়াঁজ চাষ করেছে বলে জানা গেছে। আমরা আশা করছি এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৪৬ হাজার ১২৫ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে।

জেলার জাজিরা উপজেলার বিকেনগর, পশ্চিম নাওডোবা, পূর্ব নাওডোবা, সেনেরেচর, বড়কান্দি, বড় গোপালপুর, মূলনা, জাজিরা, জয়নগর ও পালের চর ইউনিয়নেই সব চেয়ে বেশি পেঁয়াজ আবাদ ও উৎপাদন হয়। এছাড়াও বিলাসপুর, কুন্ডেরচর ইউনিয়নে তুলনামূলক কম আবাদ হয়। নড়িয়া উপজেলার রাজনগর, মোক্তারের চর, নশাসন, জপসা, ভোজেশ্বর ও ফতেহ জঙ্গপুর ইউনিয়নে বেশী আবাদ হয়। সদর উপজেলার চন্দ্রপুর, চিকন্দী, শৌলপাড়া, ডোমসার ও বিনোদপুর ইউনিয়নে, ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর, ইসলামপুর, ধানকাঠি, সিধলকুড়া ও পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নে, গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া, সামন্তসার, ইদিলপুর, নলমুরি, কুচাইপট্টি,ও গোসাইরহাট ইউনিয়নে এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও, রামভদ্রপুর, ডিএম খালি, চরভাগা, তারাবুনিয়া ও সখিপুর ইউনিয়নে বেশী পেঁয়াজের আবাদ ও উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে জাজিরা উপজেলার প্রধান অর্থকরী ফসল হচ্ছে পেঁয়াজ। এবছর বাজারজাতকরণ পর্যন্ত উৎপাদন খরচ হয়েছে হেক্টরপ্রতি ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা এবং লিজ নেওয়া জমিতে হেক্টরপ্রতি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০ টাকা। কারণ হেক্টর প্রতি বছরে গড়ে ৬০ হাজার টাকা জমির মালিককে ভাড়া বাবদ দিতে হয়। এবছর বিঘাপ্রতি গড় ফলন হয়েছে ৪১.৬৫ মণ।