শরিফা চাষে সফল পাবনার চাষী

শরিফা চাষে সফল পাবনার চাষী

পাবনা সংবাদদাতা: শরিফা (মেওয়া) ফলের ৩২ বিঘার বিশাল বাগান করে সফল হয়েছেন পাবনার কৃষক আলহাজ শাহজাহান আলী বাদশা। বাণিজ্যিকভাবে শরিফা চাষ করে লাভবান হওয়ার সফলতায় সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন। বিলুপ্ত প্রায় এই শরিফার  বাগানে অসময়েও প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণ ফল ধরেছে। ৭ বছর আগে রোপণকৃত গাছ ২ বছর ধরে ফল আহরণ শুরু হয়েছে।

বাদশার বাগানের শরিফা ফল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অভিজাত ফলের দোকানে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাগান পরিচর্যা ও ফল আহরণে প্রতিদিন ২৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন। গত বছর ৬৫ লাখ টাকার ফল বিক্রি হয়েছে। এবার বিক্রির পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে বাগান মালিক আশা করছেন। ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের মা-মণি কৃষি খামার পরিদর্শনে দেখা যায়, ৩২ বিঘা জমির বিশাল এই বাগানের প্রতিটি গাছেই প্রচুর পরিমাণ ফল ধরেছে। খামারের শ্রমিকরা গাছ থেকে ফল পেরে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন।

বাগান মালিক বাদশা জানান, ব্যতিক্রমী কিছু করার চিন্তা থেকেই বিলুপ্ত প্রায় শরিফা ফল চাষের প্রতি আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। ২০০৪ সালে ঢাকা  থেকে থ্যাইল্যান্ড জাতের কিছু শরিফা ফল কিনে বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে ২০০৬ সালে ৩২ বিঘা জমিতে রোপণ করে বাগান গড়ে তুলি। দীর্ঘ ৮ বছর পরিচর্যা করার পর গত দুই বছর ধরে বাগানের ফল বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন শুরু হয়েছে।  বিশাল ওই জমিতে অন্য ফসল উৎপাদন করলে কম সময়ে ব্যাপকভাবে অর্থিক লাভবান হওয়া যেত। কিন্তু সবুরে যে মেওয়া ফলে কথাটি প্রমাণের আশায় বুক বেঁধে ছিলাম। এখন তা সত্যি প্রমাণ হয়েছে।

ঢাকার অভিজাত ফলের দোকানে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা  কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বছরে একটি গাছে দুবার ফল ধরে।

এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. হাসানুল কবীর কামাল বলেন, কৃষক শাহজাহান আলী বাদশা শরিফা ফলের বাণিজ্যিক চাষে যে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন তা সত্যিই দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের কোথাও এতো বড় শরিফা ফলের বাগান আছে বলে আমার জানা নেই। এই ফলের মধ্যে ঔষধি গুণ রয়েছে, শরিফা ফল শরীরে শক্তি জোগায়, রক্তশূন্যতা দূর করে। কৃষি বিভাগ তার যে কোনো সহযোগিতায় প্রস্তুত আছে। তিনি বেকার যুবকদের ঘরে বসে না থেকে কৃষি কাজে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।