লিবিয়ায় ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতি, দূতাবাসের জরুরি বিজ্ঞপ্তি

লিবিয়ায় ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রিপলির চলমান যুদ্ধের মধ্যেও লিবিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের কনস্যুলার ও বিভিন্ন কল্যাণমূলক সেবা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস সব প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দূতাবাসের আশপাশ এলাকার যুদ্ধ ক্রমান্বয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় সেবাপ্রত্যাশী প্রবাসীদের নিরাপত্তা নিয়ে দূতাবাস উদ্বিগ্ন।

নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে লিবিয়ায় বসবাসরত অভিবাসীদের ডিজিটাল পাসপোর্ট রি-ইস্যু, পাসপোর্ট ডেলিভারি, আউটপাস ইস্যু, দেশে ছুটিতে গমনের প্রত্যায়নপত্র, পাসপার্ট হারিয়ে গেলে থানায় জিডির জন্য সার্টিফিকেট, কাগজপত্র সত্যায়নসহ বিভিন্ন কনস্যুলার ও কল্যাণমূলক সেবার জন্য সরাসরি দূতাবাসে না গিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা/প্রতিনিধির মাধ্যমে অথবা ই-মেইল, ফেসবুকে মেসেজ ও মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এ অবস্থায় ত্রিপলিসহ লিবিয়ার বিভিন্ন শহরে বসবাসরত প্রবাসীদের নিজ নিজ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের স্বার্থে এবং যেকোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে বর্ণিত উপায়ে দূতাবাসের সব সেবা গ্রহণেরর পরামর্শ দেয়া হলো। এক্ষেত্রে বর্ণিত সেবাসমূহ দূতাবাসের নিম্নোক্ত মোবাইল ও ই-মেইলে যোগাযোগের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।

এছাড়া স্বেচ্ছায় দেশে যাওয়ার জন্য আগ্রহী প্রবাসীদের দূতাবাসের ওয়েবসাইটের ঠিকানায় সরাসরি অনলাইনে নিবন্ধন অথবা সব তথ্য উপরোক্ত ই-মেইলে প্রেরণের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

এ প্রেক্ষিতে সকলকে আশ্বস্ত করা যাচ্ছে যে, লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস সব অভিবাসীর কনস্যুলার ও কল্যাণমূলক সেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনে একটি ব্যাকআপ অফিস থেকে দূতাবাসের কার্যক্রম পরিচালনার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে একটি মিলিটারি স্কুলে বিমান হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হন। আহত হন আরও কয়েক ডজন মানুষ।

এর আগে গত ১৮ নভেম্বর ত্রিপোলির অদূরে একটি বিস্কুট তৈরির কারখানায় ড্রোন হামলায় সাতজন নিহতের খবর পাওয়া যায়। নিহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি ছিলেন বলে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর এস এম আশরাফুল ইসলাম নিশ্চিত করেন। আহত হন আরও দুই বাংলাদেশি।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার আল গাদ্দাফির মৃত্যুর পর দেশটির শাসনক্ষমতা দুই ভাগে বিভক্ত হয়। এর মধ্যে একটি পক্ষ মিসর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মদদপুষ্ট লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের হাফতার বাহিনী এবং অন্য পক্ষ হলো জাতিসংঘের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ত্রিপোলির সরকার।

গত ৪ এপ্রিল লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বাহিনীর নেতা হাফতার রাজধানী ত্রিপোলিতে অভিযান চালিয়ে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, হাফতার বাহিনীর ওই অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও আরও পাঁচ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।