লাভজনক কৃষিতে এগিয়ে আসবে তরুণরা

নিউজ ডেস্ক: কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষিকে সম্মানজনক পেশায় পরিণত করতে হবে। কৃষি লাভজনক হলে দেশের শিক্ষিত তরুণরা এ পেশায় এগিয়ে আসবে।

তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ১৩-১৪ হাজার কোটি টাকার খাবার তেল আমদানি করতে হয়। ফলে বিপুল অংকের টাকা এ খাতে ব্যয় হচ্ছে। আমদানিনির্ভরতা কমাতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের পাশাপাশি কৃষকরা যাতে ফসলের ন্যায্যমূল্য পায় সেজন্য বাজারজাতকরণের দিকেও নজর দিতে হবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশে ডাল, তেল ও মসলার উৎপাদন বাড়াতে হবে। বিগত বছরগুলোতে দানাদার ফসল বিশেষ করে ধানে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও কখনো কখনো খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় খাদ্য আমদানি করতে হয়েছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য দানাদার ফসলের পাশাপাশি অন্য খাদ্যের উৎপাদনও বাড়াতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, তেল ব্যবহারে আমরা বিশ্বে অষ্টম এবং আমদানিতে তৃতীয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পের মাধ্যমে ডাল, তেল ও মসলার আমদানি ২০ ভাগ কমানো সম্ভব হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মীর নূরুল আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ উইংয়ের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আশ্রাফ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুল মুঈদ। প্রকল্পের মূল কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এবং বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশ নেন। কর্মশালার কারিগরি সেশনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ডাল, তেল ও মসলাজাতীয় ফসলের বীজ উৎপাদন এবং মৌ চাষ প্রযুক্তির ব্যবহার, সম্প্রসারণ ও সম্ভাবনার নানা দিক তুলে ধরেন।