লাদাখে চীনের দখলে অতিরিক্ত ভূমি

লাদাখে চীনের দখলে অতিরিক্ত ভূমি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের লাদাখ অঞ্চলের পাংগোং সো লেকের উত্তর উপকূলে ফিঙ্গার ২ ও ৩ এলাকায় চীনা সেনারা অতিরিক্ত ভূখণ্ড দখল করেছে। বিজেপির সাবেক এক পার্লামেন্ট সদস্য ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দুকে এ কথা বলেছে।

থুপস্তান চেওয়াং এর আগে লাদাখ অঞ্চলের এমপি ছিল। সে বলেছে, সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি ‘জটিল’, চীনা সেনারা সেখানে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানগুলো দখল করে নিচ্ছে।

তাকে উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি জানিয়েছে, সে বলেছে, “এমনকি হট স্প্রিং এলাকাও তারা পুরোপুরে ছেড়ে যায়নি… স্থানীয়দের কাছ থেকে এ তথ্য জানতে পেরেছি আমরা”।

চেওয়াং বলেছে, লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে সে আরও জানতে পেরেছে যে, ভারতীয় সেনারা সেখানে অপর্যাপ্ত তাবুতে শূন্য ডিগ্রিরও কম তাপমাত্রার মধ্যে অবস্থান করছে।

এই সমস্যার শুরু হয় এপ্রিলের শুরুর দিকে, যখন নয়াদিল্লী জানায় যে, তিব্বত মালভূমি সংলগ্ন লাদাখ অঞ্চলে এলএসি অতিক্রম করে চীনা সেনারা ভারতীয় অংশে অনুপ্রবেশ করেছে।

বেইজিং দাবি করে যে, এই ভূখণ্ড চীনের অংশ এবং ভারতীয় পক্ষ ওই এলাকায় সড়ক নির্মাণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ‘পরিস্থিতি অস্থিতিশীল’ করার চেষ্টা করছে।

এখন পর্যন্ত বসবাসের অনুপযোগী এই এলাকা থেকে সেনাদের সরিয়ে আনার কোন তৎপরতা কোন পক্ষের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে না, যদিও শীত এগিয়ে আসছে।

অক্টোবর মাসে ভারতীয় এবং চীনা সামরিক বাহিনীর কমান্ডাররা জানিয়েছিল যে, তারা ‘ইতিবাচক, গঠনমূলক’ আলোচনা করেছে এবং বিতর্কিত হিমালয় সীমান্ত থেকে সেনাদের সরিয়ে আনার ব্যাপারে কথাবার্তা হয়েছে।

দুই পক্ষ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, “দুই পক্ষই সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলে সংলাপ এবং যোগাযোগ চালু রাখার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে”। দুই পক্ষ এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।

তবে, সীমান্তের বাস্তব পরিস্থিতি মনে হচ্ছে ভিন্ন রকম।

লাদাখের জন্য ভিন্ন ভূমি আইন চাচ্ছেন রাজনীতিবিদরা

ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় সরকার বাইরের মানুষের জমি কেনার সুযোগসহ ভূমি আইন সংশোধনের পর চেওয়াং একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে দিল্লী গিয়েছিল এবং সেখানে সে লাদাখকে ভারতীয় সংবিধানের সিক্সথ শিডিউলের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করেন।

সে বলেছে বিজেপি সরকার আশ্বাস দিয়েছে যে, লাদাখের ব্যাপারে ভূমি আইনের যে কোন পরিবর্তন করা হলে লাদাখের স্থানীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করেই সেটা করা হবে।

দ্য হিন্দুকে সে বলেছে, “জম্মু ও কাশ্মীরের ভূমি আইন নিয়ে যে গেজেট নোটিশ জারি করা হয়েছে, সেটা লাদাখে ব্যাপক বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। তবে আমরা আশা করি যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লাদাখের জন্য এ ধরণের কোন নোটিশ জারি করবে না। দিল্লীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লাদাখের প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনার সময় সুনির্দিষ্টভাবে জানিয়েছে যে, লাদাখের জন্য সম্ভাব্য সব ধরণের সাংবিধানিক সুরক্ষা দেয়া হবে”।

সূত্র: জিও নিউজ