লক্কড়-ঝক্কড় গণপরিবহনে বন্দি ৬০ লাখ মানুষ

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: পরিবহন সেক্টরে চলছে চরম নৈরাজ্য। গাড়ির কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছেন যাত্রীরা। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের পাশাপাশি বন্দরনগর চট্টগ্রামের জনসংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু সে তুলনায় বাড়ছে না গণপরিবহন। বর্তমানে এ নগরের জনসংখ্যা ৬০ লাখের বেশি হলেও তার বিপরীতে গণপরিবহন খুবই নগন্য। লক্কড়-ঝক্কড় এসব গণপরিবহন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজপথে। এসব গণপরিবহন ও অধিক সংখ্যক ব্যক্তিগত যানবাহন নগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে নাজুক করে তুলছে।

বৃহস্পতিবার দেখা গেছে, নগরের প্রায় প্রতিটি মোড়েই যাত্রীদের জটলা। বাস-টেম্পো আসতেই সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। দু-একজন উঠতে পারলেও বাকিরা ব্যর্থ হচ্ছেন। তারা হতাশ হয়ে ফের পরবর্তী গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। প্রতিটি গণপরিবহন যাত্রীতে ঠাসা। দরজায় ধরে ঝুলছেন অনেকে। তিল ধারণের ঠাঁই নেই বাস-টেম্পোতে। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও গণপরিবহনে উঠতে না পেরে অনেকে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

বিশেষ করে অফিস শুরু আর ছুটির সময় কর্মজীবী মানুষকে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গণপরিবহন সংকটের কারণে। ঘর থেকে বের হয়ে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছা আবার কাজ শেষে সময়মতো বাড়ি ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

অফিস শুরু ও অফিস ছুটির সময় শত শত যাত্রী নগরের বিভিন্ন মোড়ে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষায় থাকে প্রতিদিন। নগরের মুরাদপুর, চকবাজার, কালুরঘাট, আন্দরকিল্লা, নিউ মার্কেট, কাজির দেউরি, অক্সিজেন, শাহ আমানত সেতু এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় যাত্রীদের প্রায়ই দুর্ভোগে পড়তে হয়। বিকল্প যানবাহনে বিশেষ করে উবার, পাঠাও অ্যাপস ভিত্তিক রাইডগুলোর মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছতে গিয়ে স্বল্প ও সীমিত আয়ের কর্মজীবী মানুষদের পরিবহন খাতে অতিরিক্ত ব্যয় করতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ট্রাফিক (উত্তর) বিভাগের টিআই-প্রশাসন মহিউদ্দিন খান বলেন, শিল্প-কারখানা ও ইপিজেডের জন্য ২০০টি বাসের সিলিং নির্ধারিত থাকার ফলে সকাল ও বিকালের বিভিন্ন সময়ে শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের জন্য অন্যান্য রুটের বাসগুলো চলে যায়। এতে সাধারণ যাত্রীরা বিভিন্ন সময়ে চরম যানবাহন সংকটে পড়ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।