লকডাউন : রংপুরের কাউনিয়ায় মরিচের মণ ১২০ টাকা!

কাঁচামরিচ এখন ২০০ টাকা

নিউজ ডেস্ক : লডাউনের জন্য রংপুরের কাউনিয়ায় মরিচের দাম কমে যাওয়ায় চাষীরা এখন বেকায়দায় পড়েছে।

মরিচ চাষীরা অর্থ সংকটের কবলে পড়ে এক মণ মরিচ বিক্রি বিক্রি করছেন ১০০ শত থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছে। অথচ কয়েক সপ্তাহ আগেও মরিচের মণ ছিলো ৮’শ থেকে ১ হাজার টাকা।তদের দাবি রংপুর অঞ্চলে মরিচ সংরক্ষণের জন্য হিমাগার স্থাপনের।

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত ২৯টি গ্রামের চরাঞ্চলে উৎপাদিত মরিচ স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের বাজারে যায়। এবারে আবহাওয়া অনুকূল মরিচের বাম্পার ফলন হলেও  লকডাউনের জন্য দাম না থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে প্রান্তিক মরিচ চাষীরা।

কাউনিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্রমতে, গত বছরের চেয়ে এ বছর ৮৫ হেক্টর বেশি জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় মরিচ চাষের লক্ষ্য মাত্রা ছিলো ৩’শ ২৫ হেক্টর কিন্তু চাষ হয়েছে ৪’শ ২০ হেক্টর জমিতে। গত বছর মরিচের চাষ হয়ে ছিলো ৩’শ ২০ হেক্টর জমিতে।

উপজেলার প্রাণনাথ চরএলাকার মরিচ চাষী ওসমান আলী বলেন,এ বছর ভাদ্র-আশ্বিন মাসে তিন একর জমিতে ফরিদপুরী জাতের মরিচ চাষ করেছি। প্রয়োজনীয় সার, কীটনাশক ও পরিচর্যার কারণে ফলনও ভাল হয়েছে। কিন্তু বাজার ক্রেতা না থাকায় বাধ্য হয়ে প্রতি মণ মরিচ অর্থ সংকটের কারনে ১’শ থেকে ১শ” ২০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। একই কথা জানালেন বল্লভবিষু চরের মরিচ চাষী আব্দুল মালেক ও জগদীশ চন্দ্র।

চাষীদের দাবি, রংপুর অঞ্চলে মরিচ সংরক্ষণের জন্য সরকারি বা বেসরকারি ভাবে কোন হিমাগার না থাকায় প্রান্তিক চাষীরা বাধ্য হয়েও কম দামে মরিচ বিক্রি করতে হয়।

কাউনিয়া তকিপল হাটে মরিচ কেনাবেচার সাথে সম্পৃক্ত রবিউল ইসলাম বলেন, ক্ষেত থেকে মরিচ ফরিয়া এবং আড়ৎদারের হাত বদল হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলম জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং পরিশোধীত বীজ, প্রয়োজনীয় সার-কীটনাশক পাওয়ায় চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।