রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব: ত্রাণমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় সম্পূর্ণ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যে ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তা সভ্য সমাজে অকল্পণীয়। মানুষ হিসেবে তাদের আশ্রয় দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ছিল।’ রবিবার (৮ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মিলনায়তনে আয়োজিত রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া ত্রাণসাহায্য গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দেশি-বিদেশি সাহায্য দিয়েই পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার সার্বিক ত্রাণকার্য পরিচালিত হচ্ছে। তাদের সবার জন্য থাকার শেড নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। ক্যাম্প এলাকায় রাস্তানির্মাণ ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকার এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের চিকিৎসা ও সেনিটেশনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে।’

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে, তা  বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে মন্তব্য করে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ প্রধানমন্ত্রীকে মাদার অব হিউম্যানিটি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো  মানবিকতা দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূইয়ার সভাপতিত্বে  আরও বক্তব্য রাখেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মীজানুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ্ কামাল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ও শিক্ষার্থীদের চাঁদার মাধ্যমে এ এক হাজার প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।