রিজভীকে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ আদালতে র, খালেদার ক্ষোভ

ঢাকা: নাশকতার ৫ মামলায় জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে ওই ৫ মামলায় জামিনের আবেদন জানান রিজভী। আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।

এদিকে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।

পাঠকদের জন্য প্রেস বিজ্ঞতিটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ও চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করার ঘটনাকে অমানবিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে আখ্যায়িত করে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, “ভোটারবিহীন অবৈধ ও অনৈতিক সরকার ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে আজ মানবিকতাবোধও হারিয়ে ফেলেছে। তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্মূল ও পর্যদুস্ত করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। দলীয়করণের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সকল স্তম্ভকে তারা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। বিচার বিভাগও আজ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একজন আইনজীবি ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন ব্যক্তি বলেই তিনি আদালতে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন।

আদালতে রিজভীর জামিন নামঞ্জুরের ঘটনায় ন্যায়বিচার প্রতিফলিত হয়নি বলে মনে করি। মামলার এজাহারে রুহুল কবির রিজভী’র নাম না থাকলেও সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় পুলিশ তার নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। অসুস্থ রিজভীকে জামিনযোগ্য মামলায় জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছারই প্রতিফলন। আমি অবিলম্বে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।