রাষ্ট্রভাষা থাকলে রাষ্ট্রধর্মও থাকতে হবে: ওলামালীগ

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ঢাকা: ‘যারা বলে রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম নেই, ধর্ম হলো ব্যক্তির; রাষ্ট্রে একাধিক ধর্মাবলম্বী রয়েছে ফলে কোনো নির্দিষ্ট ধর্মকে প্রাধান্য দেয়া যাবে না; তাদের উদ্দেশ্য যদি তাই হয়, তাহলে একইভাবে রাষ্ট্রের কোনো ভাষাও তো থাকতে পারে না। কারণ রাষ্ট্র কখনো কথা বলে না। কথা বলে ব্যক্তি। তাই রাষ্ট্রভাষা বাংলা কি বাদ দেয়া যাবে? যদি না দেয়া যায় তাহলে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ‘ইসলাম’কেও বাদ দেয়া যাবে না।’

বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের ধর্ম না থাকলে রাষ্ট্রের কোনো ভাষাও থাকতে পারে না। আর যদি রাষ্ট্রভাষা থাকে তবে রাষ্ট্রধর্মও থাকতে হবে।’

শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ আয়োজিত এক মানববন্ধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আখতার হুসাইন বলেন, ‘ধর্মশিক্ষা থেকে দূরে সরে আসায় দেশে শিশু ও নারী নির্যাতন, হত্যা বেড়েই চলেছে। এর মূল কারণ, নীতি-নৈতিকতা এবং ধর্মীয় অনুশাসনের অভাব। দেশের শিক্ষাব্যবস্থাসহ সব ক্ষেত্রেই ইসলামী অনুশাসনের অনুপস্থিতির ফলে এসব ঘটনা ঘটছে। এছাড়া ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাকের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’ এটাও সংবিধান থেকে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। যার ফলে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধের অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে। শিশুহত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে কর্মের সঙ্গে লিপ্ত হচ্ছে মানুষ।’

তিনি আরো বলেন, ‘জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ মানুষ মুসলমান। যে দেশে ১০ লাখ মসজিদ রয়েছে, যে দেশে প্রতি জুমুয়ার জামাতে কোটি কোটি লোকের সমাগম হয়, সে দেশে রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম- তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হওয়া স্বাভাবিক এবং রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম বহাল থাকাও স্বাভাবিক।’

বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩টি দলের প্রতিনিধি হিসেবে ৭ দফা দাবিও তুলে ধরেন বুখারী। দাবিগুলো হলো : বাবা-মা কর্তৃক শিশু হত্যা ও নিযাতন বন্ধ এবং মাদক-দুর্নীতি প্রতিরোধসহ সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় রোধে সংবিধানে সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানে বহাল রাখা, মুসলিম স্বার্থ সুরক্ষায় ভারতের প্রতি আহ্ববান, ক্ষতিগ্রস্ত মুসলমানদের স্বার্থরক্ষায় অবিলম্বে অর্পিত সম্পত্তি আইনের ‘খ’ তফসিল চালু করা, এদেশ থেকে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, দলটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাজী মাওলানা মুহাম্মদ আবুল হাসান, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি আলহাজ হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার, বঙ্গবন্ধু ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ীসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।